বইমেলায় শান্তনু চৌধুরীর তিন বই

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লেখক শান্তনু চৌধুরীর তিন বইয়ের মোড়ক

লেখক শান্তনু চৌধুরীর তিন বইয়ের মোড়ক

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে লেখক ও সাংবাদিক শান্তনু চৌধুরীর তিনটি বই। এর মধ্যে ১৯ নম্বর স্টলের ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশনী থেকে ‘টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপনা ও কৌশল’, ১২৩-১২৪ নম্বর স্টলের বেহুলা বাংলা প্রকাশনী থেকে প্রেম ও দেশাত্মবোধকের উপন্যাস ‘অর্ধেক প্রেমিকা’, ৩৩৬ নম্বরের কালো প্রকাশনী থেকে সরস রচনা ‘যৌথ জীবনের বিদ্যা’। সবগুলো প্রকাশনীর স্টল বাংলা একাডেমির পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

টেলিভিশন সংবাদ উপস্থাপনা ও কৌশল

বিজ্ঞাপন

সময় এখন টেলিভিশন সাংবাদিকতার। সাহসী ও আলোচিত পেশা বলা যায় এটিকে। তরুণ-তরুণীরা নিজেকে মেলে ধরার জন্য ঝুঁকছেন এই পেশায়। তুলে আনছেন তৃণমূল থেকে আলোচিত নানা প্রতিবেদন। বলা যেতে পারে পেশা হিসেবে টেলিভিশন সাংবাদিকতা এখন বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের কাছে। এর মধ্যে সবারই স্বপ্ন থাকে সংবাদ উপস্থাপক হওয়ার। তাই এ নিয়ে প্রয়োজন আলাদা করে প্রস্তুতির। কারণ এখন আর স্ক্রিপ্ট দেখে খবর পড়ার যুগ নেই। এখন একজন সংবাদ উপস্থাপক মানে প্রথমেই তিনি একজন সংবাদকর্মী। তাকে ধারণা থাকতে হবে সংবাদ নিয়েও। হয়তো আপনার মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু সঠিক গাইডনেসের অভাবে সেদিকে বেশ অগ্রসর হতে পারছেন না। যারা শুরুতে টিভি সাংবাদিকতায় আসতে চান তাদের সহযোগিতার জন্য লেখা হয়েছে বইটি। কারণ তাত্ত্বিক আর প্রায়োগিক জ্ঞানই পারে একজন সফল উপস্থাপক সৃষ্টি করতে। বাকিটা চেষ্টা, ধৈর্য আর সংকল্প। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।

প্রেম ও দেশাত্ববোধের উপন্যাস ‘অর্ধেক প্রেমিকা’

বিজ্ঞাপন

‘আর ইউ ফ্রম ইন্ডিয়া?’ রুমকি কী বলবে। সোজাসুজি ইয়েস বলাইতো সঠিক। কিন্তু অনেক দিন পর অভির সাথে কথা বলতে বলতে ওর মনে হয় ওরতো আরো একটি দেশ আছে, বাংলাদেশ। ভীষণভাবে অনুভব করে ও। একুশে ফেব্রুয়ারি। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়ার বাংলাদেশিরা মিলে বানােেলা অস্থায়ী শহীদ মিনার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অনেকে এলেন। কেউ কেউ সাদা কালো পাঞ্জাবিও পরলো। রুমকির চোখ ভিজে উঠে। আগে কখনো এমন হয়নি। ওর দেশতো বাংলাদেশ না। বাংলাদেশ ওকে কোনো পরিচয় দেয়নি। ওর সব সনদ ভারতীয়। কিন্তু মনে পড়ে মেয়েবেলায় স্কুলে অভির সঙ্গে এর ওর গাছ থেকে ফুল চুরি করে ভোরে ভোরে নিয়ে আসতো ওরা। এরপর সেই ফুল শহীদ মিনারে। মানুষ এক দেশ থেকে আরেক দেশে গড়ে স্থায়ী ঠিকানা। কিন্তু ভুলে যেতে পারে কি শেকড়। আত্মার টান। যদি সেখানে থেকে যায় শেকড়েরও গভীর কিছু। এই প্রেম, টানাপড়েন, অভি আর রুমকির বদলে যাওয়া সময়, ফের কাছে আসতে চাওয়ার গল্প নিয়েই উপন্যাস ‘অর্ধেক প্রেমিকা’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

সরস রচনা ‘যৌথ জীবনের বিদ্যা’

ঠিক কী হয় প্রেমে। বুকের ভেতর প্রায়ই কিচিরমিচির। ছটফটানি। যেভাবে কথারা আসে যায়। নব্য সখ্যে ইচ্ছেমতন, দিগ্বিদিক। প্রাণের মানুষটিকে কাছে পাওয়ার উদ্বেলতা। শুধুই কী তাই। আধুনিক সময়ে এসে রঙ বদলেছে ভালোবাসার। প্রেম, যৌনতা, আউটিংয়ের ফাঁকে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা। অর্ন্তবাস থেকে অজ্ঞাতবাস মানে দু’জনে হারিয়ে যাওয়ার গল্প। ভালোবাসার শর্ত ও দায়ভার, সমস্ত ব্যাপারেই নিয়ত কিছু বোঝাপড়াও এসে যায় শেষ পর্যন্ত। ভালোবাসা তখন শুধুই অভ্যাস। সেই অভ্যাসেই অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া। ভালোবাসা ভিখিরিও করে, আবার ঋণিও করে। সেসব নিয়েই সরস রচনা ‘যৌথ জীবনের বিদ্যা’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আবু হাসান।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উত্তর ঢেমশা গ্রামে জন্ম নেয়া শান্তনু চৌধুরী প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ শেষ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং রাজধানীতে এসে রাজনৈতিক, ক্রাইমসহ উন্নয়ন সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয়ে রিপোর্ট করার অভিজ্ঞতা তাকে সমৃদ্ধ করেছে।
শান্তনু চৌধুরীর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা দেড় যুগেরও বেশি। একুশ শতকের শুরুতে হাতেখড়ি হয় একুশ শতকের দৈনিক স্লোগান নিয়ে আসা প্রথম আলোতে। কাজ করেছেন বেশকয়েকটি দৈনিকে। বর্তমানে কাজ করছেন সময় টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক হিসেবে।

এর আগে তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে- ফিরে এসো, নারীসঙ্গ, অন্য সময়ের প্রেম, পর সমাচার এই যে, রসিকা, টেলিভিশন সাংবাদিকতা, সূর্যোদয়ের আগে, অর্ধেক প্রেমিকা, যৌথ জীবনের বিদ্যা উল্লেখযোগ্য।