যে কারণে খাবেন সজনে পাতা

  • ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সজনে পাতা / ছবি: বার্তা২৪

সজনে পাতা / ছবি: বার্তা২৪

সজনে পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর গাছ। শুনে অবাক হচ্ছেন? অবাক হবারই কথা। বিস্ময়কর গুণাগুণে ভরপুর এই গাছকে বলা হয় 'মিরাকেল ট্রি'।

বিজ্ঞানবিদ গবেষকরা একে পুষ্টি ডিনামাইড, ন্যাচারাল মাল্টিভিটামিন ও মিরাকেল ভেজিটেবলও বলে থাকেন। শুধু তাই নয়, সজনেকে 'মরিঙ্গা', 'ড্রামস্টিক' বা 'হর্সরেডিস' নামেও ডাকা হয়।

বিজ্ঞাপন

বহু ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ সজনে গাছের পাতাও। এ গাছের পাতাকে বলা হয় 'সুপার ফুড অব নিউট্রিশন'। শত বছর ধরে প্রায় ৩০০ রোগের ঔষধ হিসেবে সজনের ব্যবহার হয়ে আসছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558090222157.jpg

অসম্ভব পুষ্টি উপাদান আর ঔষধি গুণে ভরা সজনে গাছ ও পাতা দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের কাছে 'জাদুর গাছ' হিসেবে পরিচিত। সেখানে বাচ্চাদের পুষ্টিহীনতা দূরীকরণে সজনে গাছের পাতা থেকে তৈরি মরিঙ্গা ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।

পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর গাছ হিসেবে দাবি করা এই সজনেতে ৯২ ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়া এ গাছে ৪৬ ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট, ১৮ ধরনের এমাইনো এসিড এবং ৮ ধরনের এসেনসিয়াল এমাইনো এসিড বিদ্যমান।

সজনে পাতায় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন ও পটাসিয়াম রয়েছে। কারও কারও মতে, সজনের পাতায় অরেঞ্জ ও লেবু থেকে সাত গুণ বেশি ভিটামিন-সি আছে। গাজর থেকে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন-এ, দুধ থেকে ৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও ডিম থেকে দুই গুণ বেশি প্রোটিন আছে। এছাড়াও শাক থেকে ২৫ গুণ বেশি আয়রন এবং কলা থেকে ৩ গুণ বেশি পটাশিয়াম আছে।

সজনের ডাটা যেমন প্রচণ্ড গরমে দেহ সতেজ ও ঠাণ্ডা রাখে। তেমনি এর পাতা আঞ্চলিক খাবার ‘শোলকা’তে ব্যবহার হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/17/1558090246594.jpg

দক্ষিণ আফ্রিকায় সজনে পাতা ও ডাটা দিয়ে তৈরি ট্যাবলেট 'মরিঙ্গ ‘। এই ট্যাবলেট হার্ট ভাল রাখা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রক্তের সুগার লেভেল কমিয়ে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধ, দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, রক্তশূন্যতা দূর, বাতের ও হাঁটুর ব্যাথা উপশমে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

কারও কারও মতে, মরিঙ্গা টিউমার নিরাময়ে, অন্ধত্ব দূরীকরণে, হজমে সহায়ক, পেটে গ্যাস, বদহজম, পেট ব্যাথার উপশম করা ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর, এজমা উপশম, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া ও মাড়ি ফুলে যাওয়া সমস্যার সমাধান এবং স্তন্যদাত্রী মাতাদের দুগ্ধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।