আমলকির সঙ্গে হোক শীতের শুরু

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দিনের বেলায় রোদের দেখা পাওয়া গেলেও, সন্ধ্যা হতেই শীতের আমেজ প্রকাশ পেতে থাকে। আবহাওয়ার এমন বৈচিত্রে, হুট করেই ঠাণ্ডা-কাশি কিংবা গলাব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ত্বকের নিস্প্রাণ ভাব তো আছেই।

শীতকালীন সময়ে একই সঙ্গে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য প্রয়োজন ভীষণ উপকারী খাদ্য উপাদানের। এমনই প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান হলো আমলকি। শীতের শুরু থেকেই কেন এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সেটা জানতে চোখ বুলিয়ে নিন আজকের ফিচারে।

বিজ্ঞাপন

কমায় গলা ব্যথা

শীতের শুরুতে ঠাণ্ডাজনিত নানান সমস্যার ভেতর, গলাব্যথার সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নিয়মিত এক গ্লাস আমলকির রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো আদা ও মধু মিশিয়ে পান করলে গলা ব্যথা কমে। একইসঙ্গে কফ ও সর্দি-কাশির সমস্যাও কমে যায় দ্রুত।

বৃদ্ধি পায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানে আছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই পুষ্টি উপাদান দুইটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দিতেও কার্যকরি ভূমিকা পালন করে আলমকি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/12/1542005594054.jpg

হজমে উন্নতি হয়

বিভিন্ন ধরণের মুখরোচক খাবারের সঙ্গে, খাদ্য তালিকায় রাখুন আমলকি। এই ফলটি খাওয়ার ফলে বদহজম নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজমশক্তি ভালো থাকে।  

কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে

হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত একটা করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে থাকা একাধিক শক্তিশালী উপাদান, হার্টের আর্টারির জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

সুস্থ রাখে ত্বককে

আমলকিতে এমন কিছু খনিজ এবং উপাকারি ভিটামিন আছে, যা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে। ফলটি একইসঙ্গে ত্বকের অভ্যান্তরিন পুষ্টির চাহিদা মেটাতেও ভূমিকা রাখে। ফলে নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে, শীতের মাঝেও ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত থাকে।

এছাড়া, শুকনো আলমকির পাউডারের সঙ্গে পরিমাণ মতো দই ও মধু মিশিয়ে, তৈরিকৃত পেস্ট মুখে ব্যবহারে ত্বকে বলীরেখা দেখা দেওয়ার মাত্রা কমে যাবে।