‘ইসলামি শিক্ষা ছাড়া সমাজে শান্তি আসবে না’
ঢাকা: ধর্মহীন শিক্ষার অভাবে সমাজ ক্রমেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সামাজিক শিষ্টাচার, পারস্পরিক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ চর্চা বেশি জরুরি। সেই সঙ্গে দরকার ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিতদেরকে সমাজে নেতৃত্ব প্রদান। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বই পারে একটি সমৃদ্ধশালী আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস এসব কথা বলেন।
তিনি শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যমূলক করারও দাবী জানান। সেই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের ছাত্র সমাজের কাছে ইসলামের কল্যাণমূলক বাণী তুলে ধরতে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার কথা বলেন।
মুফতি ওয়াক্কাস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের প্রতিবেশী আসামের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার গত ৩০ জুলাই সংশোধিত যে নাগরিক তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে প্রায় ৪০ লাখ ভারতীয় বাসিন্দা বাদ পড়েছে। আমরা মনে করছি, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি করবে। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের নীতিমালা ভঙ্গ করে ভারতীয় নাগরিকদের ‘বাংলাদেশী’ আখ্যা দিয়ে পুশব্যাক করার প্রস্তুতি এবং স্বেচ্ছায় না গেলে গুলি করার হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। আমরা রোহিঙ্গাদের মতো আরেকটি গণহত্যার করুণ পরিণতি দেখতে চাই না।
দলের মহাসচিব মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান তার বক্তব্যে হয়রানিমূলক মামলায় কেন্দ্রীয় জমিয়তের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জামালগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রশিদ আহমদ এর নিশঃর্ত মুক্তির দাবী জানান।
কাউন্সিল অধিবেশনে তোফায়েল গাজালিকে সভাপতি, এম বেলাল আহমদ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক ও নিজাম উদ্দিন আল আদনানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট ২ বছর মেয়াদী ছাত্র জমিয়তের মজলিসে আমেলা গঠন করা হয়।
তোফায়েল গাজালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে আরও বক্তব্য রাখেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাউসারি, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মুফতি জাকির হোসাইন খান, মুফতি রেজাউল করীম ও সৈয়দ রেজওয়ান আহমদ প্রমুখ।