কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী লড়াই

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের প্রেস্টিজ আসন কিশোরগঞ্জ-২ নির্বাচনী এলাকায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে শুরু হয়েছে ত্রিমুখী লড়াই। এলাকায় বইছে হাই-ভোল্টেজ ভোটের পলিটিক্স।

কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-২ নির্বাচনী আসনটি আওয়ামী লীগের কাছে বরাবরই প্রেস্টিজ ইস্যু। কারণ এ আসনে অতীতে আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এক সময়ের মন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক গোলাপ মিয়া। আওয়ামী লীগ সব সময়ই এ আসনটি নিজের জন্য ধরে রাখতে চায়।

বিজ্ঞাপন

এই আসনটি আওয়ামী লীগের জন্য প্রেস্টিজ আরো একটি কারণে যে, একদা কটিয়াদী থেকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর এবং পরবর্তীতে সিনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান খান চুন্নু মিয়া নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী মিলে একটি আসন হয়েছে এবং উভয় উপজেলার আওয়ামী লীগ আসনটি দখলে রাখাকে ঐতিহ্য ও প্রেস্টিজ ইস্যু বলে মনে করে।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী সরবে মাঠে নেমেছেন। তাদের ব্যাপক জনসংযোগ ও পদচারণায় কিশোরগঞ্জ-২ আসন এখন উৎসবমুখর ও জমজমাট।

/uploads/files/SIFdpKkuzdTb6RMEI7xRZM6FGVuAxOG3xB0IXEPJ.jpeg

এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সামনে দলীয় প্রার্থিতার প্রশ্নে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করছেন পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কমকে জানায়, 'দলের নেতা-কর্মীরা তিন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ঘিরে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। দল ও অঙ্গ সংগঠন ছাড়াও স্থানীয় ভোটারদের মধ্যেও এই তিন প্রার্থীর পক্ষে মেরুকরণ হয়েছে।'

সূত্র জানায়, 'দলের সমর্থনের বাইরেও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজ নিজ এলাকা ভিত্তিক শক্তিশালী সাপোর্ট বেস তৈরি করেছেন। দল ও নিজের সমর্থক গোষ্ঠীকে নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীগণ প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শোডাউন করছেন। মিছিল, বৈঠক, মতবিনিয়ম চলছে নিয়মিতভাবে।'

যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জোর দিচ্ছেন এলাকার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে। স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন।'

/uploads/files/MJbiv1DmzVvRq2XvmTUJ5r608Ru20GS1hJoNHj2A.jpeg

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সকলেই যোগ্য, এতে কোন সন্দেহ নেই। জনসমর্থনের দিক থেকেও তারা কেউ কারো কাছ থেকে পিছিয়ে নেই। তবে সার্বিকভাবে সকল দিক বিবেচনা করে দল ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, সকলেই তাকে নিয়ে কাজ করবো।'

এদিকে তিন প্রার্থীর সমর্থকরাই দলের কেন্দ্রিয় স্তরে নিজেদের জোরালো লবি কাজ করছে বলে দাবি করেছেন। বার্তা২৪.কমকে তারা নিশ্চিত করেছেন যে, 'কেন্দ্রের গ্রিন সিগনাল তাদের পক্ষে রয়েছে।'

নির্বাচনী প্রচারণার দৌড়ে শেষ পর্যন্ত এই তিন প্রার্থীর মধ্যে কার ভাগ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।