মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ৮৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ওই মামলায় গ্রেফতার চার নেতাকর্মীকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার সবুজ (৫৫), উপজেলার ছয়আনী গালা গ্রামের হারুন অর রশিদ (৫৮), কালই গ্রামের নিত্য সরকার (৪৫) ও মতিয়ার রহমান মতি (৬৫)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত হারুনার রশীদ খান মুন্নুর কন্যা জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার বয়ড়া গ্রামের বাস ভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতাকর্মীদের আলোচনা সভায় বক্তব্য চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হামলা চালায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করা হয়।
দেশিয় অস্ত্র, লোহার লড, বাটাম, হকিস্টিক, চাপাতি ও লাঠি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়। মামলায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জনের জড়িত থাকার বিষয়েও উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুমিন খান জানান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার বয়ড়া গ্রামের বাস ভবনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বুধবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি মুমিন খান।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের দরপত্র (টেন্ডার) জমাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগে পৌর যুবদল আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাসকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে সেনা সদস্যরা।
আটক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস লালমনিরহাট পৌরসভা গেট এলাকার বাসিন্দা। তিনি লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আড়াইশত শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহসহ ৩টি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের নিদিষ্ট বক্সে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।
হাসপাতালের দরপত্র জমাদানে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দরপত্রবক্স তথা হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। সেই পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাঁধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস। এসময় দরপত্র গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষকেও লাঞ্ছিত করেন তিনি।
অন্য দরদাতারা দরপত্র জমাদান করতে না পেয়ে সেনা সদস্যদের খবর দেন। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা এসে ধাওয়া দিয়ে যুবদল নেতা জুলহাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলে ২৪ জন দরদাতা তাদের দরপত্র জমা দেন।
লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, পৌর যুবদল আহ্বায়ক জুলহাস দৌড়ে পালানোর কারণে তাকে আটক করেছে। এটি মূলত আপোষযোগ্য বিষয়। পত্রিকায় না লেখাই ভালো।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সামিরা হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছিল জুলহাস নামে একজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়ে তাদের ফোন করা হলে তারা এসে বিশৃঙ্খলাকারীকে আটক করেছে।
এব্যাপরে জানতে লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদেরকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, দরপত্র দাখিল নিয়ে হট্টগোল করার চেষ্টা করলে জুলহাস নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ যদি দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, ভারতসহ কিছু চোর ডাকাত বিএনপিকে দেখতে পারে না। এজন্য তারা ইলেকশনকে ঠেকিয়ে রাখতে চাই। যাতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে না পারে। তারেক রহমান যেন প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ কর্মজীবী দল গাজীপুর মহানগর এর উদ্যোগে আয়োজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের গণহত্যা, লুটপাটের বিচার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আল্লাহ তায়ালা বিএনপি ও তারেক রহমানকে মেনে নিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। তা না হলে এত বড় পরিবর্তন হতো না। আল্লাহর ইশারায় এত বড় পরিবর্তন হয়েছে। বিএনপি, তারেক জিয়া, শহীদ জিয়া, বেগম জিয়াকে যারা ভালোবাসে তাদেরই দিন আসছে আগামী দিনে। সেজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। এই ঐক্যই আমাদেরকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচন দিতে হবে। তার মানে এই নয় যে আগামী কালকে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা রোডম্যাপের দাবি করেছি। কখন নির্বাচন দিবেন সময়টা তো আমাদেরকে জানতে হবে। সে সময়টা আমাদের বলেন দেশের জনগণ ভোট দেওয়ার আশায় বসে আছে । জনগণ ভোটের অধিকার থেকে ২০ বছর ধরে বঞ্চিত। জনগণের ঠিক করবে কে তাদের প্রতিনিধি হবে। সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে আমরা আবার দেশটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা যা বলতেন সেটি করতেন না। আর যা করতেন সেটি বলতেন না। মাইক ধরলে তিনি অশ্লীল বক্তৃতার রাণী ছিলেন। কাউকে কখনো সম্মান রেখে তিনি কথা বলেননি। আমার কাছে মনে হয়েছে এই মানুষটা যে এত বড় খুনি সেটি গত জুলাই-আগস্টের পতনের আগ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই নি।। ওই সময় নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে। কিন্তু ১৬ বছর ধরে অনেক হত্যাকাণ্ড, ঘুম, নির্যাতন রয়েছে। এই এক মাসেরটা তাৎক্ষণিকভাবে সবার চোখে পড়েছে। বিশ্বের চোখে পড়েছে। তার পতন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের যদি সুষ্ঠু বিচার করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে যে কেউ এরকম স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য অনতিবিলম্বে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের ন্যায্যত, আইনত বিচার করতে হবে। এইটা জনগণের দাবি। বিশ্বের দাবি। গণতন্ত্রকামি মানুষের দাবি। এটা ফেলে রাখা যাবে না।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগের মতো এত বড় লুটপাটকারী সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো আসেনি। সে তার বাপকেও হারিয়ে দিয়েছে। ৪০ হাজার বিরোধী নেতাকে শেখ মুজিব সাড়ে তিন বছরে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা তারইতো কন্যা। '৭২ সালে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত হিসেবে তখনই পরিচিতি পেয়েছে। সেই সময় গণকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সে কারণে গণকণ্ঠসহ পত্রিকাগুলোকে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। এরকম খুনি লুটপাটকারী পরিবার বিশ্বে নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচারকৃত টাকাগুলো ফেরত আনতে হবে। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে আমরা এটিকে সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু উদ্যোগ আর সমর্থন এটি বড় কথা নয়। এই টাকা জনগণের মেহনতের টাকা। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত আনতে হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এ সরকারকে বিএনপি সমর্থন করে। তারেক রহমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। এ সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশবাসী আপনাদের পাশে আছে। কয়েকটা সিন্ডিকেট মানুষের টাকা অন্যায় ভাবে লুটে নিবে এটা হতে পারে না। সরকারকে এগুলো দূর করতে হবে এবং আরো শক্তিশালী হতে হবে। শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। যেই হোক তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করতে হবে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার তো জনগণের সরকার। তাহলে এগুলো ভাঙতে অসুবিধা কোথায়। প্রয়োজনে আমরা নেমে পড়বো। চোর ধরা এত কঠিন কাজ নয়।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচা আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
বর্তমান সরকারের ভিন্ন কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি সারাবিশ্বে সমাদৃত। তিনি নিজেই বলেছেন আমার কোনো রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই। আপনারা যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই সরকারের নিজস্ব কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। আমরা এটাও বিশ্বাস করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার সময়টাকে সদ্বব্যবহার করে অতি দ্রুত যৌক্তিক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা ও জনগণ এটাই চাই।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যারা নিহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমি শ্রদ্ধা জানাতে চাই সেইসব রাজনৈতিক দলগুলোকে যেদলগুলো দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে শেখ হাসিনার পতনে ছিলো।
আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করছি। কারণ আগে সভা সমাবেশ করতে যে ভীতির মধ্য থাকা লাগতো এখন আর সেটা হয়না। আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে দেশের জনগণ বিজয় অর্জন করেছে।
আওয়ামী লীগ বার বার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বলে মির্জা ফখরুল বলেন, এই মূহুর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যে স্বপ্ন দেখেছিলাম ১৯৭১ সালে। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করে নাই। সেই সময় তারা হত্যা লুন্ঠন দুর্নীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেইসময় বাকশালের পরিবর্তন হয়েছে রক্তাক্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে।
সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। আমাদের আশা ছিলো সার্চ কমিটি গঠনের আগে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন কিন্ত তারা সেটা করেনি। এইজন্য আমরা এটাকে বড় ধরনের কোন সমস্যা মনে করিনা। আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন কমিশন হোক, সেই সাথে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করুক। তিনমাসের মধ্য যদি আউয়ালরা ও হুদারা নির্বাচন আয়োজন করতে পারে তাহলে আপনারা কেন পারবেন না।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলবো ড. ইউনূসকে বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে, আপনাকে সম্মান দিচ্ছে এবং আগামীতেও দিবে। আপনার কাছে শুধু একটাই অনুরোধ আপনাকে ছাত্র-জনতা যে জায়গায় বসিয়েছে সেটা যেনো কোনোভাবেই নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ থাকবেন।
রাজনৈতিক যুদ্ধ কখনো শেষ হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো শেষ হয় না, রাজনৈতিক সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না। এই সংগ্রাম চলতে থাকে। সংস্কার কার্যক্রম তেমনি চলমান থাকে। আমরা প্রত্যাশা করবো সরকার দ্রুত সংস্কার কমিশন থেকে রিপোর্ট নিয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরবেন এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সব সংস্কার কিন্তু জনগণের দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে এবং জনগণের সেটা মেনে নিতে হবে। জনগণের মতামত ছাড়া কোন সংস্কার দীর্ঘায়িত হবে না। ওপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে কোনো কিছুর সফলতা আসে না।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।