খালেদার প‍্যারোলে মুক্তির চিন্তা নেই বিএনপিতে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার / ছবি: বার্তা২৪

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার / ছবি: বার্তা২৪

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আপাদত কোনো চিন্তা ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়ানয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, খালেদা জিয়ার কোনো মামলার সাজাই চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে তাকে জামিন না দেওয়া সম্পূর্ণভাবে সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী।'

সরকার অশুভ উদ্দেশ্যেই কেরানীগঞ্জের কারাগারে আদালত বসাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চরম অবনতি না ঘটে, তার জন্য অবশ্যই বিশেষায়িত হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি।’

মামলার প্রসঙ্গ টেনে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে একটি সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে নির্জন কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ওই বছরই ৩১ অক্টোবর নিম্ন আদালত ৫ বছরের সাজা হাইকোর্ট ১০ বছর বৃদ্ধি করে। এর কয়েক মাস পরে নিম্ন আদালত চ‍্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে আরেকটি মামলায় ৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া একাধিক বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও সাজা প্রদানে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এখন দেশে-বিদেশে বিভিন্ন অধিকার গ্রুপ, মানবাধিকার সংস্থা এমনকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সরকারগুলোর পক্ষ থেকেও বেগম জিয়ার মামলাকে সাক্ষ্য-প্রমাণহীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করা হয়েছে।'

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি জানালে আওয়ামী লীগ সরকার শুনবে কিনা জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কীভাবে শোনাতে হয় এক সময় তার ব্যবস্থা হবে। এতো চিন্তা করে লাভ নেই।'

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাইবে না। তিনি অসুস্থ। তার চিকিৎসা দরকার।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।