মাহফুজ উল্লাহ সত্য বলতে দ্বিধা করেননি: মির্জা ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: সৈয়দ মেহেদী

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: সৈয়দ মেহেদী

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ সত্যকে সত্য বলতে কখনোই দ্বিধা করেননি। এটাই ছিল তার সবচেয়ে বড় গুণ।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মাহফুজ উল্লাহর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বলেন, তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এতো ঘনিষ্ঠ ছিল যে, তিনি আমার পাশে থাকবেন না, এটা কখনো ভাবিনি। তিনি চলে যাওয়ার কিছুদিন আগে, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখানে মাহফুজ উল্লাহ বিএনপির কঠিন সমালোচনা করেছিলেন। এটাই ছিল তার সবচেয়ে বড় গুণ। সত্যকে সত্য বলতে কখনো সে দ্বিধা করেননি।

মাহফুজ উল্লাহ সত্য বলতে দ্বিধা করেননি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি নেতা বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে অত্যন্ত সমাজ সচেতন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। পরবর্তীকালে রাজনীতিতে না থেকে সাংবাদিকতায় আসেন। এ পেশায় থেকে তিনি চেষ্টা করেছেন সমাজ পরিবর্তনের। চেষ্টা করেছেন, কীভাবে এই রাষ্ট্রকে কল্যাণমূলক করা যায়। চেষ্টা করেছেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে।

ফখরুল বলেন, আজকের এই কঠিন সময়ে যখন গণতন্ত্র ও অধিকারবিহীন রাষ্ট্র, যেখানে রাজনীতির চিহ্নমাত্র নেই, তখন মাহফুজ উল্লাহ তার সত্য কথা বলার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। এই যে অনুপ্রেরণা দেওয়া, কাজ করতে বলা, হতাশ না হওয়ার গুণ, এসব বিশালভাবে তার মধ্যে ছিল। যা আমাকে খুবই অনুপ্রাণিত করেছে।

মাহফুজ উল্লাহ সত্য বলতে দ্বিধা করেননি: মির্জা ফখরুল

শোক সভায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাবি আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. সাদাত হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবির প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহ। এর আগে ২ এপ্রিল সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির গ্রীন রোডে মাহফুজউল্লাহ তার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয় তাকে।