ভারতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ভোগের একটি ফটোশুটে অংশ নিয়েছেন গৌরি খান। তবে ফটোশুটের জন্য এবার কোন স্টুডিও বা দর্শনীয় স্থানকে বেছে নেয়নি গৌরি। এবারের শুটের জন্য নিজের বাড়ি ‘মান্নত’কেই প্রধান্য দিয়েছেন শাহরুখপত্নি। মজার বিষয় হলো, ভোগের এই ফটোশুটের মাধ্যমে ‘মান্নত’-এর এমন কিছু অংশ দেখিয়েছেন যা আগে কেউ কখনও দেখেনি। আর প্রচ্ছদের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মান্নত আনসিন দ্য হাউস দ্যাট গৌরি বিল্ট।’ এরইমধ্যে ফটোশুটের বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন শাহরুখ-গৌরি দম্পতি। এর ক্যাপশনে তারা লিখেছেন, ‘মান্নত আনসিন।’
মঙ্গলবার হঠাৎ বিধ্বংসী দাবানল আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ায়। লস অ্যাঞ্জেলসের এই প্যাসিফিক প্যালিসেডসেই বসবাস হলিউডের বহু তারকার। ম্যান্ডি মুর, প্যারিস হিলটন থেকে অ্যান্টনি হপকিনস্- অনেক নামী তারকা রয়েছে সেই তালিকায়। এই ভয়াবহ সময়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে রয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা নোরা ফাতেহিও। ফলে লেলিহান আগুনের কবলে পড়েন তিনিও! তাই অবিলম্বে তাকে ও তার সহযোগী দলের কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নোরা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানালেন তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
এক ভিডিও বার্তায় নোরা বলেছেন, ‘আমি এখন লস অ্যাঞ্জেলেসে আছি। এই দাবানল সত্যিই বিধ্বংসী। এমন আগে কখনও দেখিনি। সাংঘাতিক বললেও কম বলা হবে। পাঁচ মিনিট আগে আমাদের ঘর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে যাই। আমি এখন কাছাকাছিই এক বিমানবন্দরে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে একটু বিশ্রাম করব। আজই আমি ভারতে ফেরার বিমান ধরব।’
নোরা এই বিধ্বংসী দাবানল নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আশা করছি আমি বিমানে উঠে আজ ফিরতে পারব। এখানে পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর বলে বোঝাতে পারব না। কী অবস্থায় রয়েছি, আপনাদের জানাতে থাকব। আশা করছি, প্রত্যেকে নিরাপদে থাকবেন।’
নোরার এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তার অনুরাগীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রীকে দ্রুত দেশে ফেরার অনুরোধ করছেন তারা।
এদিকে, দাবানল নিয়ে আরেক প্রখ্যাত বলিউড তারকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনিও লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা এখন। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও এই পরিস্থিতি নিয়ে তিনিও চিন্তিত। দাবানল রুখতে যারা লড়াই করছেন তাদের কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বহু মানুষ। বাদ যাননি রুপালি পর্দার তারকারাও। তাদের বসতবাড়ি ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই! চোখের জলে ভিজে হাহাকার করছেন তাবড় হলিউডি তারকারা। জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্যাসিফিক প্যালিসেডস। এটি লস অ্যাঞ্জেলসের অত্যন্ত অভিজাত এলাকা। এখানেই রয়েছে ম্যান্ডি মুর, প্যারিস হিলটন, অ্যান্থনি হপকিন্স, ক্যারি এলওয়েসের মতো তারকার বিলাসবহুল বাড়ি। সাধের বাড়ি হারিয়ে মাথায় হাত তাদের।
প্যারিস হিলটনের কথাই ধরুন। মালিবুতে তার বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। টিভিতে সম্প্রচার দেখে জেনেছেন সে কথা। তিনি হাহাকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘এই অভিজ্ঞতা যেন আর কারও না হয়। এই বাড়িতে অনেক মূল্যবান স্মৃতি ছিল। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে সব। আমার্ পরিবারের সদস্য এবং পোষ্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’ ছবির অভিনেতা ক্যারি এলওয়েসেরও। তার বাড়িও পুড়ে ছাই। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে রয়েছেন পরিবারের বাকিরা।
খ্যাতনামা অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার পরিবার নিরাপদ। কিন্তু তাদের বাড়ি রক্ষা পায়নি। তিনি কৃতজ্ঞ ঈশ্বর এবং উদ্ধারকারীদের কাছে, যাদের জন্য তিনি এবং তার পরিবার প্রাণে বেঁচেছেন। তার শেয়ার করা একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় বাড়িঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। দাবানল ভয়াবহ রূপ ধরার আগেই পরিবারের সকলকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন অভিনেতা-গায়িকা ম্যান্ডি মুর। বাড়ি জ্বলেছে তারও। ধ্বংসের ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করে বাক্রুদ্ধ তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলসের আশপাশে কমপক্ষে চারটি জায়গায় এই দাবানল ছড়িয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাও তাই ক্রমশ বাড়ছে। এই তালিকায় রয়েছেন বিলি ক্রিস্টাল, আনা ফারিস এবং রিকি লেকসহ অনেকে।
অবশেষে জট কেটেছে। মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের শক্তিমান অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। প্রথম পরিচালিত ছবিটির মুক্তি নির্বিঘ্ন করতে কম ঘাম ঝরালেন না অভিনেত্রী। ‘ইমার্জেন্সি’ প্রথমে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০২৪-এর ৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের থেকে মিলছিল না ছাড়পত্র। আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনার ছবি।
ছবিটি এবার মুক্তি পেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন তিনি। এ ছবির চিত্রনাট্যকার, প্রযোজকও কঙ্গনা নিজেই। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রেও তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন। আর তাই অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ ছবিটি দেখতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংসদ ভবনে প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে দেখা হয়েছিল কঙ্গনার। তখনই বিরোধী নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে কঙ্গনা বলেছেন, “প্রিয়াঙ্কাজির সঙ্গে সংসদে দেখা হয়েছিল। প্রথমেই তাকে বললাম, ‘আপনার কিন্তু ইমার্জেন্সি দেখা উচিত’। খুবই আনন্দিত হয়ে উত্তর দেন তিনি, ‘হ্যাঁ। হয়তো দেখব।’ আমি তাকে বলেছি, ‘এই ছবি আপনার পছন্দ হবেই’।”
গান্ধী-নেহরু পরিবারের সকলকেই কি আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাবেন কঙ্গনা? প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আগে দেখা যাক, তারা ছবিটা দেখতে চান কি না। এই ছবিতে আসলে খুবই স্পর্শকাতর অধ্যায় এবং একজন ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রকে সম্মান ও যত্নের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। গবেষণা করার সময়ে লক্ষ করেছিলাম, তার ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক, স্বামী, বন্ধুত্ব, বিতর্কিত যোগাযোগ নিয়েও প্রচুর আলোচনা হয়েছে। আমি নিজেও ভেবেছি, বহু দিক রয়েছে এই ব্যক্তিত্বের।’
নেপোটিজ়ম নিয়ে মন্তব্য করে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি করেছেন কঙ্গনা। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর দাবি, ‘ইন্দিরা গান্ধীও এই নেপোটিজ়মেরই ফসল।’
প্রায় ১৫ বছরের দাম্পত্য তাদের। আচমকাই ২০২১ সালে বিচ্ছেদের কথা শোনা যায় টলিপাড়ার চর্চিত দম্পতি বরখা বিস্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের। চার বছর হতে চলল তাদের ছাদ আলাদা হয়েছে। পাকাপাকি ভাবে বিচ্ছেদ এখনও বাকি। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু একদা যাদের সুখী দাম্পত্যকে দৃষ্টান্ত করা হত, তাদের বিচ্ছেদের খবর বিশ্বাস করতে বেশ কষ্টই পেতে হয় অনুরাগীদের। কানাঘুষো এই পতি-পত্নীর মাঝে নাকি তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। তিনি আবার টলিপাড়ার মিষ্টি নায়িকা। যদিও সেই নায়িকা ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হওয়ার তত্ত্ব নাকচ করেছেন।
এত দিন সম্পর্কে ভাঙন নিয়ে মৌনতা বজায় রাখলেও সম্প্রতি বরখা নিজের দাম্পত্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি বরখা দাবি করেন, তিনি বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দ্রনীল বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন বলেই তাকে সসম্মানে মুক্তি দিয়েছেন। স্ত্রী বরখার এমন দাবি শুনে কী বললেন ইন্দ্রনীল?
এই প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল কলকাতার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বরখা যা মনে হয়েছে বলেছেন। আমার দাম্পত্য জীবন নিয়ে বাইরে কোনও কথা বলতে চাই না।’
এই মুহূর্তে বাংলা ছবিতে পর পর বেশ কিছু কাজ করছেন ইন্দ্রনীল। মুম্বই-কলকাতা যাতায়াতও অব্যাহত। মেয়ে মীরার সঙ্গে সময় কাটানোর নানা ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন ইন্দ্রনীল।
অন্যদিকে, ‘খাদান’ ছবির মাধ্যমে বাংলা ছবিতে বেশ অনেক বছর পর প্রত্যাবর্তন করেছেন বরখা। এক সময় ইন্দ্রনীলকে ঘিরে আবর্তিত ছিল বরখার জীবন। তবে এখন নিজেকে গুছিয়ে নিতে শিখে গিয়েছেন। যদিও শেষে অবশ্য বরখা জানান, হয়তো যা হয়েছে ভালই হয়েছে। তিনি নিজেকে গোছানোর সময় পেয়েছেন।
এ সময়ে ছোটপর্দার ব্যস্ততম অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ইউটিউবে তার নাটকের দারুণ চাহিদা। প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয় তার নাটকগুলো। ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করেছেন ধর্মকর্ম করার জন্য।
বাবা মা স্ত্রীসহ তিনি এখন সৌদিতে, গিয়েছেন ওমরাহ পালন করতে। যাওয়ার সময় একটি ছবি দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই অভিনেতা। তার সেই পোস্টে অনেকেই নিলয়ের উমরাহ পালনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও একজন লিখেছেন, ‘অভিনয়টা ছেড়ে দিও ভাই’! নিলয় অবশ্য অন্য তারকাদের মতো কমেন্টটি দেখেও না দেখার ভান করেননি। তিনি সেই মন্তব্যের প্রতিউত্তরে লিখেছেন, ‘অভিনয়ের টাকা দিয়েই যাচ্ছি’। অর্থাৎ অভিনয় করে যে টাকা পারিশ্রমিক পান তা জমিয়েই পরিবারের সবার ওমরাহ পালনের খচর নির্বাহ করছেন তিনি।
নিলয়ের সেই উত্তর অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে নিলয় আরেকটি স্ট্যাটাস দেন ওই মন্তব্যের জবাব হিসেবে। পোস্টে কারও নাম না উল্লেখ করে নিলয় আলমগীর লিখেছেন, ‘আমার নাটক দেখেই আমাকে চেনন এবং আমার নাটক দেখেই আমার ভক্ত (ফ্যান) হয়েছেন। এখন আবার আমাকে বলছেন নাটক ছেড়ে দিতে। কিছুই তো বুঝতেছি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি নাটক ছেড়ে দিলেই কি আপনি নাটক দেখা বন্ধ করবেন? সেটা তো করবেন না। অন্য আরেকজনের নাটক ঠিকই দেখবেন। নাটক যদি এতই খারাপ জিনিস হয়, তাহলে সবাই মিলে নাটক দেখা বন্ধ করে দেন, তাহলে নতুন নাটকও হবে না। বল কিন্তু আপনার কোর্টে।’
এই স্ট্যাটাসে আবার আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘মানুষ যা বুঝাতে চেয়েছে তা হল, আপনি যেন হজ্জ করে আর নাটকে না ফিরেন, যখন মিডিয়া জগৎ ছাড়বেন তখন হজ্জ করতেন।’
নিলয় এবারও থামেলেন না, দিলেন পাল্টা জবাব, ‘বাঁচা মরার গ্যারান্টি কে দিবে
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে ডেবিউ হয় নিলয় আলমগীরের। পরবর্তীতে মাসুদ কায়নাত পচিালিত ‘বেইলি রোড’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করেন।
সবশেষ অভিনীত সিনেমা ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’, যা মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এরপর অবশ্য আর সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। তবে ছোটপর্দায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন এ অভিনেতা।