এ বছর মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতা অং রাখাইনের ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।
আগামী ১ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে চলবে উৎসবটি। এবারের উৎসবে ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ ‘ইন্টারন্যাশনাল শর্টস’ বিভাগে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছে এবং প্রতিযোগিতায় চলচ্চিত্রটি ৭ ও ৯ আগস্ট প্রদর্শিত হবে।
বিজ্ঞাপন
অং রাখাইনের ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটি গত বছর LOCARNO INTERNAIONAL FILM FESTIVAL (Open Doors) শাখায় ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার দিয়ে যাত্রা শুরু করে ।
বিজ্ঞাপন
চলচ্চিত্রটি এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি উৎসবে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে CLERMONT- FERRAND SHORT FILM FESTIVAL 2019, TAMPERE FILM FESTIVAL 2019, HONG KONG INTERNATIONALN FILM FESTIVAL 2019।
‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’-এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব ও অশোক ব্যাপারী। এর গল্প লিখেছেন রাজীব রাফি।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। প্রযোজনা করেছেন রুবাইয়াত হোসেন ও আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ।
আগামী ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে শর্ট ফিল্ম ফোরামের অডিটোরিয়ামে প্রদর্শিত হবে ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’।
০৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, সোমবার, সন্ধ্যা ০৭.৩০ মিনিট, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নৃত্যাঞ্চলের প্রাণ-পুরুষ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর এর জন্মদিন উপলক্ষে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে ‘নৃত্যাঞ্চল পদক’ ২০২৪ এর ভূষিত ব্যক্তির নাম ঘোষণা ও আনন্দ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্যাঞ্চলের সকল কলাকুশলীরা মঞ্চে উঠে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নৃত্যাঞ্চল নিয়ে ভাবনা তার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত এবং নৃত্যাঞ্চলের সকল কর্ম ও সৃজনে তাঁকে স্মরণ করবার দৃঢ় শপথ নেন।
এরপর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কর্মময় জীবনের উপর তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে তাঁর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা করেন বড় ভাই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রহিম, ঢাকা বিশ^বিদ্যায়য়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, বরেণ্য নৃত্যশিল্পী কাজল ইব্রাহিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ সহ অনেক গুনগ্রাহি। এরপর ২০২২ সালের পদক প্রদান ও লোকনৃত্য উৎসবের কিছু অংশ দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করা হয়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির ধামাইল গান ও নৃত্যের বিশিষ্ট গুনীজন ব্যক্তি হিসাবে শ্রীমতি কুমকুম রাণী চন্দ‘কে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নৃত্যাঞ্চল পদক ২০২৪ ভূষিত করে তাঁর নাম ঘোষনা করা হয়।
‘নৃত্যাঞ্চল পদক’ ২০২৪ এ ভূষিত ব্যক্তির নাম ঘোষনা করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সহধর্মিণী মিসেস রেহানা আক্তার ঝর্ণ। এরপর নৃত্যাঞ্চলের শিল্পীরা পরিবেশন করে ধামাইল নৃত্য। নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্বপ্ন দেখতেন নৃত্যাঞ্চল এদেশের মৌলিক ও স্বক্রিয় ধারার নৃত্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারি ধারাবাহিকতায় নৃত্যাঞ্চল প্রতি দু‘বছর অন্তর লোকনৃত্য উৎসবের আয়োজন করে আসছে। আগামী ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তিনদিন ব্যাপী লোকনৃত্য উৎসব “শিকড়ের সন্ধানে বাংলার লোকনৃত্য” আয়োজনের মাধ্যমে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্মরণে নৃত্যাঞ্চল পদক ২০২৪ শ্রীমতি কুমকুম রানী চন্দ‘কে প্রদান করা হবে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও দেশ বরেণ্য নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক শামীম আরা নীপা।
বিয়ের ১৩ বছর পর পরিবারের প্রতি নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে সানি-ড্যানিয়েল দম্পতি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে ড্যানিয়েল ওয়েবারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সানি লিওন। বিবাহের ১৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত ৩১ অক্টোবর মালদ্বীপে স্বামীর সাথে তারা বিবাহের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করেছেন। এসময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের।
প্রতিবেদনে আরে উল্লেখ করা হয়, সানি ও ড্যানিয়েল আরও আগেই এই আয়োজন করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তানদের পরিবারের এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য বোঝানোর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
তাই সন্তানদের স্কুলের ছুটি থাকায় দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় থাকা এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করে। এই অনুষ্ঠানে সানি লিওন ও ড্যানিয়েল দুজনেই তাদের লিখিত প্রতিজ্ঞা পড়ে শুনিয়েছেন এবং তাদের তিন সন্তান পরিবার বলতে কি বোঝে তা উল্লেখ করেছেন। এক পর্যায়ে ড্যানিয়েল সানি লিওনকে রিং গিফট করে মুহূর্তটি আরো উপভোগ্য করে তুলেছেন।
মালদ্বীপে এই আয়োজন করার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানি লিওন দম্পতির অবকাশ যাপনের জন্য পছন্দের জায়গাগুলোর একটি হলো মালদ্বীপ। তাই তারা এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য মালদ্বীপকে বেঁছে নিয়েছে।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের গুণের শেষ নেই। তবে তারকা হওয়ার আগেই ধূমপানের নেশা তাকে পেয়ে বসে। এই বদঅভ্যাস তিনি সর্বশেষ ৩০ বছর ধরে ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু কিছুতেই তিনি সেটি পারেননি। বরং চেইন স্মোকার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে শাহরুখের। ২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি দিনে প্রায় ১০০টি সিগারেট পান করি। আর খাবার খেতে ভুলে যাই। আমি পানি পান করি না। দিনে প্রায় ৩০ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করি। আর হ্যাঁ, আমার কিন্তু সিক্স প্যাক আছে। এছাড়াও মজা করে তিনি বলেছিলেন, আমি নিজের যত কম খেয়াল রাখি, ততই খেয়াল রাখা হয় আমার।অবশেষে জীবন থেকে ধূমপানকে বিদায় দিতে সফল হয়েছেন এই মেগা স্টার।
গত ২ নভেম্বর ৫৯ বছরে পা রাখলেন কিং খান। এ উপলক্ষে ভক্ত-শুভাকাক্সক্ষীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। সেখানে খোলামেলা আড্ডায় মেতে উঠেন। কেক কেটে উদযাপনও করেন। একইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত অভ্যাস নিয়েও চাঞ্চল্যকর কথা বলেন এ অভিনেতা। জানান, ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। যা শুনে হতবাক সবাই।
তবে শাহরুখ এও বলেন, ‘আমি কখনোই তাদের আইডল হতে পারবো না যারা স্মোমিং করেন না কিংবা স্মোমিং ছাড়তে চেষ্টা করছেন। কারণ, আমারই ৩০ বছর লেগেছে। তবে এটা বলতে চাই যে, স্মোকিং আমাদের শরীরের জন্য খুব খারাপ। আপনারা যদি স্মোকিং করে থাকেন তাহলে যত দ্রুত পারেন ছেড়ে দিন। জীবনের যে কোন প্রান্তে এসে আপনি সেটি করতে পারেন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শাহরুখ খান মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা প্রসঙ্গে বলেন, একটি ভালো খবর আছে। আমি আর ধূমপান করছি না। তার এ কথা শোনার পর অবাক হন উপস্থাপক। আর সঙ্গে সঙ্গে কড়তালিতে ভরে যায় অডিটোরিয়াম।
দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস বাদ দেয়ার পর এখন কেমন অনুভব হচ্ছে, সেটিও জানিয়েছেন এ অভিনেতা। জানান, তিনি আশা করেছিলেন হাঁপিয়ে উঠার সমস্যা কমবে। তবে এখনো ধূমপানের প্রভাব বুঝতে পারেন।
এ সময় মঞ্চের সামনে থাকা অনুরাগীদের উদ্দেশে বলেন, আমি ভেবেছিলাম যে আগের মতো শ্বাসের সমস্যা হবে না। কিন্তু এখনো সেই প্রভাব বুঝতে পারি। অর্থাৎ, ধূমপান ছাড়লেও এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেননি। আর এটাও ঠিক হয়ে যাবে বিশ্বাস রেখে বলেন, ইনশাআল্লাহ সেটাও ঠিক হয়ে যাবে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান স্বীকার করেছিলেন যে, তার সিগারেটের পাশাপাশি ক্যাফেইন গ্রহণের অভ্যাস রয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের ফলে দেশে তৈরি হওয়া স্থবিরতার প্রভাব অন্যান্য সেক্টরের মতো শিল্প সাহিত্যেও পড়েছে। তবে সেই স্থবিরতা কাটিয়ে চেষ্টা করছে সবাই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নন্দন মঞ্চে আয়োজন করে লালন উৎসব। এবার প্রতিষ্ঠানটি উদ্যোগ নিয়েছে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্য ‘যাত্রা শিল্প’কে চাঙ্গা করার ।
‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে যাত্রা উৎসব। সাত দিনব্যাপী উৎসবটি চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য যাত্রাপালা। আমাদের শিক্ষা,সংস্কৃতি, চিন্তা, মূল্যবোধ,দর্শনকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তৃত ইতিহাস যা কথা বলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, কথা বলে সকল শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং কথা বলে গণমানুষের সংস্কৃতির পক্ষে। এই উৎসবে সমাজের সকল ধারার মানুষের আগমনকে সবসময়ই ইতিবাচকভাবে দেখছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
এই যাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তালিকাভুক্ত ৭টি যাত্রাদল এসেছে ঢাকায়। সাত দিনে সাতটি অর্থাৎ প্রত্যেক দল ১টি করে যাত্রাপালা পরিবেশন করছে উৎসবে।
গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় যাত্রা উৎসেবর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসরাফিল মজুমদার, বিশেষ অতিথি যাত্রাশিল্পী অনিমা দে এবং উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করবেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জাহির।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান, নাট্যনির্দেশক, প্রখ্যাত ডিজাইনার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
সাত দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় সুরুভী অপেরার ‘নিহত গোলাপ’। দ্বিতীয় দিন পরিবেশিত হয় নিউ শামীম নাট্য সংস্থার পালা ‘আনার কলি’।
তৃতীয় দিনে ছিলো বঙ্গবাণী অপেরার ‘মেঘে ঢাকা তারা’। আজ চতুর্থ দিনে থাকছে নর-নারায়ণ অপেরার ‘লালন ফকির’।
আয়োজনটির পঞ্চম দিনে থাকবে বন্ধু অপেরার যাত্রা ‘আপন দুলাল’, ষষ্ঠ দিনে দেখা যাবে শারমিন অপেরার পালা ‘ফুলন দেবী’ এবং সমাপনী দিনে দেখা যাবে যাত্রাবন্ধু অপেরার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।