সাফারি পার্কে ফের বাঘ শাবকের জন্ম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জন্ম নেওয়া বাঘের শাবক, ছবি: বার্তা২৪

জন্ম নেওয়া বাঘের শাবক, ছবি: বার্তা২৪

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ফের বাঘ শাবকের জন্ম হয়েছে। গত পহেলা নভেম্বর মা বাঘিনী এই মাদি শাবকটির জন্ম দেয়। তবে নিরাপত্তার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন পর সোমবার (১৪ জানুয়ারি) বাঘ শাবক জন্মের খবর প্রচার করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/14/1547466951028.jpg

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে এই পার্কে বাঘের সংখ্যা ১৩ তে পৌঁছেছে। গত ৮ আগস্ট এখানেই রানী নামের একটি বাঘিনী ৩টি শাবকের জন্ম দেয় যার মধ্যে একটি ছিল সাদা বাঘ শাবক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিছুর রহমান জানান,শাবক ও তার মায়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এ খবর গোপন করে রাখা হয়েছিল। এখন উভয়েই সুস্থ রয়েছে। শাবক নিয়মিত ভাবেই তার মায়ের দুধ পান করছে।  উভয়ের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তার মাকে অতিরিক্ত খাবারও দেওয়া হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/14/1547466967704.jpg

মা বাঘিনী ও শাবকের কিউরেটর(তত্বাবধানকারী) নুরুন্নবী মিন্টু জানান, এবারের শাবক জন্মের মধ্য দিয়ে এই পার্কে ৩য় বারের মত বাচ্চা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে, আর এই বাঘিনী প্রথমবারের মত এই শাবকটির জন্ম দেয়। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অন্যান্য বাঘের সাথে এই বাঘিনী সাফারি পার্কে আনা হয়। নিরাপত্তার জন্যই মা ও তার শাবককে আলাদা করে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আরও ১ বছর পর তাকে অন্যান্য বাঘের সাথে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/14/1547466982788.jpg

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতায় এখানের পরিবেশ ও প্রাণীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পালন করায় প্রতিনিয়ত বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বাঘ ও সিংহের বেলায় আশার সঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন পার্কে প্রাণী সরবরাহ করা যাবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/14/1547466998637.jpg