১১ বছরেও নির্মাণ হয়নি, ভাঙা বেড়িবাঁধে ৫৩ পরিবার

  • ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বরগুনায় স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ভাঙা বেড়িবাঁধের ওপর বসবাস করছে বলেশ্বর নদী পাড়ের ৫৩টি পরিবার। একের পর এক বন্যা ও নদী ভাঙনে বসতঘর হারিয়ে দিশেহারা তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, বার বার জরুরি মেরামতের নামে অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা কোনো কাজেই আসছে না। তাই নদী শাসন করতে স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া মনোয়ারা বেগমের (৫৬) বসত ঘরের অবশিষ্ট অংশ পড়ে আছে নদী পাড়ে। তিনি বার্তা২৪কে বলেন, ‘১১ বছরে ৪ বার ভিটা-মাটি ভেসে গেছে। প্রত্যেক জোয়ারের পানিতে হাবুডুবু খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। তাই দিশেহারা হয়ে ভাঙা বেড়িবাঁধে উঠেছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/07/1546834149333.JPG

মনোয়ারা বেগমের মতো নাহার বেগম, কুলসুম বেগম, কবির মাঝিসহ ৫৩টি পরিবারের একই অবস্থা। গত ১১ বছরে বিভিন্ন বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে নিহত প্রতিবেশীদের মরদেহ দেখার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের।
তারা জানান, নদীতে সামান্য পানি বাড়লেও ভাঙতে থাকে নদী পাড়। ফলে উপায় না পেয়ে ভাঙা বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মশিউর রহমান বার্তা২৪কে বলেন, ‘স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণে ব্যায় অনেক। তাই বরাদ্দের অভাবে জরুরি মেরামতের বিকল্প নেই। তবে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চলছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/07/1546834164757.JPG

উল্লেখ্য, গত ১১ বছরে বিভিন্ন সময় বন্যা ও জোয়ারের পানির চাপে পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীপাড়ের ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। যার বেশিরভাগ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ।