বর্ষবরণ ঘিরে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের পদচারণা

  • অফিস ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী: বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। আর পর্যটকদের বিনোদনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে এবার পর্যটননগরী কুয়াকাটা সেজেছে নতুন সাজে।
 
হোটেল-মোটেল-কটেজগুলো পরিপূর্ণ হয়ে গেছে অনেকটাই। যে ক’টা খালি রয়েছে শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যার মধ্যে তাও পরিপূর্ণ হয়ে যাবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
 
এদিকে পর্যটকদের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
 
ব্যবসায়ীরা জানান,  ঈদ-কোরবানি, পুজা, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ ও বাংলা নববর্ষসহ ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের ভিড়ে জমে ওঠে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বিগত বছরগুলোয় ধারা অব্যাহত রেখে এ বছরও পুরনো বাংলা ১৪২৪ সালকে বিদায় আর নতুন ১৪২৫ সালকে বরণ করতে হাজারো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। 
 
কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, মিশ্রিপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহার, জাতীয় উদ্যান, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লি, রাখাইন মহিলা মার্কেট, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর, লাল কাঁকড়ার চর, চর-বিজয়, ইলিশ পার্কসহ পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের ভিড়ে ফিরে পেয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। কেউ নিজে, কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউবা নিজের পছন্দের মানুষকে নিয়ে উপভোগ করছেন কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য। 

কুয়াকাটা আবাসিক হোটেল বিচ হ্যাভেনের ইনচার্জ বায়জিৎ মল্লিক জানান, বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে পর্যটকরা আগে ভাগেই হোটেল-মোটেলের সিট বুকিং করে রেখেছেন। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা নতুন বছরের নতুন দিনটিকে ঘিরে কুয়াকাটায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের এ এসপি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বর্ষবরণ উৎসবকে ঘিরে কুয়াকাটায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।

এদিকে কলাপাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে সমুদ্র সৈকতে ঘুড়ি উৎসব ও