শিশু নির্যাতন ও জঙ্গিবাদের কনটেন্ট শনাক্ত করবে ফেসবুকের ওপেন সোর্স অ্যালগরিদম
ফেসবুকের দুটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম অ্যালগোরিদমের সাহায্যে ক্ষতিকর কনটেন্ট ফিল্টার করে ফেসবুকে নিরাপদ ব্রাউজিং নিশ্চিত করবে।
এরমধ্যে ফেসবুকের ক্ষতিকর কনটেন্ট, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ কিংবা প্রোপাগান্ডা, ক্ষতিকর গ্রাফিকাল কনটেন্ট এবং শিশুদের যৌন নির্যাতনমূলক এসব অপ্রীতিকর কনটেন্ট শনাক্ত করবে এই প্রযুক্তি।
ফেসবুক বলছে, পিডিকিউ এবং টিএমক+পিডিকিউএফ যৌথভাবে এই প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল কনটেন্টগুলো সংগ্রহ করবে। তখন তা ফেসবুকে থাকা অন্যান্য ক্ষতিকর কনটেন্টের মিলিয়ে দেখা হবে। এভাবে ক্ষতিকর কনটেন্টগুলো ফেসবুক থেকে মুছে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১আগস্ট) চতুর্থ বার্ষিক শিশু নিরাপত্তা অনুষ্ঠানে ফেসবুকের নতুন এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
ফেসবুকের এক ব্লগ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করে বলে, ‘আমরা বিশ্বাস করি এমন আরও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ের ডেভেলপাররা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট শনাক্ত করার জন্য এগিয়ে আসবেন। যা আমাদের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে দ্রুত সময়ে ক্ষতিকর কনটেন্টগুলো মুছে দিতে সাহায্য করবে।’
তাই যখন শিশু নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের মতো ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করা হচ্ছে তখন ফেসবুক অন্যদেরকেও আহ্বান জানাচ্ছে তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সাইবারটিপলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরের মধ্যে অনলাইনে শিশু যৌন নির্যাতনের ভিডিও ৫৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সত্যিই একটি ভয়াবহ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় নিখোঁজ এবং শোষযুক্ত শিশুদের জন্য কেন্দ্রের সভাপতি জন ক্লার্ক বলন, ফেসবুকের এই মহীয়সী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি আশা করি এর ফলে অপরাধী শনাক্তকরণ এবং শিশু নির্যাতন, জঙ্গিবাদের মতো অপরাধ অনলাইন মাধ্যমে বন্ধ হবে।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। মে মাসে ফেসবুকে আরও কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট মুছে দেওয়ার জন্য।
সূত্র: দ্য ভার্জ