সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ফিচার বন্ধে নতুন বিল উত্থাপন

  • টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্যামসাং অ্যাক্টিভ ওয়াচ এবং ট্যাবলেট, ছবি: সংগৃহীত

স্যামসাং অ্যাক্টিভ ওয়াচ এবং ট্যাবলেট, ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকের পরেই অন্যতম জনপ্রিয় বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট। এই প্ল্যাটফর্মে ‘স্ন্যাপস্ট্রিক’ নামের একটি ফিচার আছে যা ইউজারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এই ফিচারটিসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ফিচার বন্ধের জন্য একটি নতুন বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

সিনেটে সবচেয়ে তরুণ সদস্য সেন জশ হ্যালি ‘সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিকশন রিডাকশন টেকনলোজি অ্যাক্ট’ নামের একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং স্ন্যাপচ্যাটের কিছু বিশেষ ফিচার বন্ধের দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসব ফিচারের মধ্যে রয়েছে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও প্লে হয়ে যাওয়া, সীমাহীন স্ক্রোলিং এবং স্ন্যাপস্ট্রিকের মতো ফিচার। এখানে সীমাহীন স্ক্রোলিং বলতে, প্ল্যাটফর্ম গুলোতে দেখা যায় স্ক্রোল করতে করতে শুধু কনটেন্ট আসতেই থাকে যার কোনো শেষ নেই। আর স্ন্যাপচ্যাটের ‘স্ন্যাপস্ট্রিক’ ফিচারটি ফেসবুকের মাই স্টোরি ফিচারের মতোই। যা ২৪ ঘন্টা পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়।

হ্যালি বলেন, ‘বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বিজনেস মডেলের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা মানুষের ভালোর জন্য ব্যবহার না করে মানুষের আবেগ এবং মানসিক বিষয়গুলোকে পুঁজি করে নিয়ে ব্যবসা করছে।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার এরকম ফিচারগুলো বিশেষ করে তরুণদেরকে টার্গেট করে তৈরি করে। যা একসময় তাদের মধ্যে আশক্তির মতো কাজ করে।

২০১৭ সালে লন্ডনের রয়াল সোসাইটির এক গবেষণায় দেখা যায়, সবচেয়ে ক্ষতিকর সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে স্ন্যাপচ্যাট অন্যতম।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস