নিজেকে বুড়ো বানাতে গিয়ে খোয়াতে পারেন ফেসবুক আইডি
কয়েকদিন থেকেই অ্যাপ্স ব্যবহার করে বুড়ো বয়সে নিজেকে কেমন দেখাবে তা বের করার ট্রেন্ড চলছে। আর সেসব ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ব্যাপক সারা ফেলা অ্যাপ্সটি অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবহারকারীদের নজরে চলে এসেছে। আসবে না-ই বা কেন? কে না চায় নিজের ভবিষ্যৎ আগাম দেখতে?
কিন্তু নিজের বিনোদনের জন্য যে কাজ করে যাচ্ছেন তা কি আসলেই আপনার জন্য নিরাপদ? একবার কি ভেবে দেখেছেন এর মাধ্যমে নিজেই নিজের তথ্য অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছেন!
মনে হতে পারে একটি অ্যাপ্স কিভাবে তথ্য কিভাবে হাতিয়ে নেবে? একটু খেয়াল করলেই এর জবাব খুঁজে পাবেন। এসব অ্যাপ্স ব্যবহার করতে হলে প্রায় সময় বিভিন্ন ব্যক্তিগত জিনিসের একসেস দিতে হয়। ছবি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অ্যাপ্সগুলো আপনার গ্যালারির একসেস চায়। আর এভাবেই এসব অ্যাপ্স আপনার গ্যালারিতে কী কী আছে সব জেনে নিতে পারে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অ্যাপ্স ভাইরাল হয়েছে। যেমন নিজেকে দেখতে কোন নায়ক বা নায়িকার মতো দেখতে কিংবা ছেলে না হয়ে মেয়ে হলে কেমন দেখাত ইত্যাদি। এসব নিয়েও একসময় কম মাতামাতি হয়নি। কিন্তু লক্ষ করলে দেখা যায়, যখনই এমন কোনো অ্যাপ্স ভাইরাল হয় তার পরপরই অনেকের আইডি হারিয়ে যেতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক আইডি ডিজেবল কিংবা ফেসবুক কর্তৃক সাময়িক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে।
তাই বলে কি এসব অ্যাপ্স ব্যবহার করব না? হ্যাঁ, করবেন। মানুষের জীবনে বিনোদনের দরকার আছে। তবে বিনোদন যেন দুশ্চিন্তার কারণ না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।
কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়?
এসব অ্যাপ্সের কবল থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে ব্যবহার শেষে অ্যাপ্সটি আনইন্সটল করে দিতে পারেন। অন্তত ফোর্স স্টপ করে রাখতে পারেন যেন সেটি আপনার অগোচরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কোনো তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে।
আর যেসব অ্যাপ্সের ক্ষেত্রে ফেসবুকের কানেকশন দরকার হয় সেসব ব্যবহারের পরে ফেসবুকের সেটিংস এন্ড প্রাইভেসি সেকশনে থাকা অ্যাপ্স অপশন থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপ্সটি রিমুভ করে দিতে পারেন। এ সাবধানতা অবলম্বনের ফলে অ্যাপ্সটি পরবর্তী সময়ে আপনার কোনো তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে না।
নিয়ম মেনে সচেতনতার সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার করলে এটি আপনার জন্য অকল্যাণ নয়, বরং কল্যাণই বয়ে আনবে।