লিটনকে আউট দেওয়া আম্পায়ারের ফেসবুক একাউন্ট বাতিল!
এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে আউট দেওয়া বিতর্কিত আম্পায়ারের ফেসবুক একাউন্ট বাতিল- এমন দাবি ডিটি টাইগার্স সোশ্যাল মিডিয়া সিকিউরিটি টিমের। এটা নিয়ে তারা ফেসবুক পেজে একটি পোস্টও করেছে।
খেলার ৪১তম ওভারের ঘটনা। যুবেন্দ্র চাহালের শেষ বলটি খেলতে গিয়ে মিস করেন লিটন। স্ট্যাম্প ভাঙতে সময় নেননি ভারতীয় উইকেট কিপার মহেন্দ্র সিং ধোনি। আউটের আবেদন উঠলে থার্ড আম্পায়ার কল করেন ফিল্ড আম্পায়ার!
টিভি আম্পায়ার রড টাকার একাধিকবার নানাভাবে রিপ্লেতে আউটটি দেখেন। আঁচ করা যাচ্ছিল তিনি নিজেও দ্বিধাগ্রস্ত। সত্যিই কী এটি আউট? নানা কোণ থেকে বুঝতে চেষ্টা করলেন তিনি। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল ধোনি স্ট্যাম্প ভাঙার আগেই পা লাইন স্পর্শ করেছেন লিটন। ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে এরপর বুঝতে চেষ্টা করলেন টাকার।
এমনকি এটা বুঝে উঠতে স্ট্যাম্প ক্যামেরার সাহায্যও নিলেন। সব মিলিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে উঠেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান এই আম্পায়ার! এক্ষেত্রে ক্রিকেট আইনে স্পষ্ট আছে বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের দিকেই যায়। পাশাপাশি ধারাভাষ্যকার থেকে বিশ্লেষকরা ঠিক এই কথাটিই বলে যাচ্ছিলেন। এরপরই আম্পায়ার আউটের ঘোষণায় লিটনেকে ফিরে যেতে হয় সাজঘরে।
সঙ্গে সঙ্গেই লিটনের আউট ও থার্ড আম্পায়ারের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেকেই আইসিসি ও আম্পায়ারের তীব্র সমালোচনা করেন। কেউ কেউ আইসিসিকে ব্যঙ্গ করে নানা ছবিও পোস্ট করেন।
আর বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিতর্কিত আউট দেওয়া থার্ড আম্পায়ার রড টাকারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও বাতিল ( ডিজেবল) করে দেওয়া হয়েছে। এমন দাবি ডিটি টাইগার্স সোশ্যাল মিডিয়া সিকিউরিটি টিমের। এটা নিয়ে তারা ফেসবুক পেজে একটি পোস্টও করেছেন।
পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত দেওয়ার নজির রড টাকারের জন্য নতুন নয়। এর আগে অনেকবার একই অভিযোগে বেশ কয়েকবার তিরস্কৃত হয়েছেন তিনি। এই টাকারই ২০১৬ সালে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ বলে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। ওই রিপোর্টের পরও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তবুও তাসকিনকে সেই সিদ্ধান্তের কারণে বেশ কয়েকবার কঠিন বোলিং পরীক্ষা দিতে হয়েছে।