অনুমোদনহীন পাঠাও পে, চলছে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও নিয়ন্ত্রিত ই-ওয়ালেট ‘পাঠাও পে’ অনুমোদনহীন হওয়া সত্ত্বেও চালিয়ে যাচ্ছে তার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পাঠাও অ্যাপসে প্রবেশ করলেই একটি পপআপ বার্তার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনবিহীন গ্রাহকদের পাঠাও পে’তে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়।
গ্রাহকরা এই বার্তা উপেক্ষা করতে পারলেও বার বার একই বার্তা প্রদর্শন করায় অনেকেই বিরক্ত হয়ে রেজিস্ট্রেশন করছেন। ইতিমধ্যে এই পাঠাও পে তে অনেক গ্রাহক টাকাও রিচার্জ করে ফেলেন । তবে এর মধ্যে যে সকল গ্রাহক রাইড নেয়ার পর চালকদের পাঠাও পে’তে টাকা প্রদান করেছেন তাদের অনেকেই নিজেদের টাকা এখনো তুলতে পারেনি বলেও অভিযোগ জানান।
এছাড়াও কিছুদিন চালু থাকার পর অনেক গ্রাহক ডিসকাউন্ট এর আশায় পাঠাও’পে তে রিচার্জ করলেও সার্ভিস উন্নয়নের দোহাই দিয়ে বন্ধ থাকায় সম্পূর্ণ টাকাই ওয়ালেট এ অলস পড়ে রয়েছে।
পাঠাও পে এর সীমাবদ্ধতা জানাতে গিয়ে কয়েকজন চালক জানান, আমাদের টাকা লাগে নগদ, আমাদের যদি টাকা পরে দেয়া হয় তাইলে লাভ কি। আবার এই সব চক্করে পরে আমাদের টাকাও আটকে আছে । এছাড়াও বকেয়া সমন্বয় করতে গিয়েও অনেকে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন বলেও জানান।
পাঠাওতে রেজিস্ট্রেশন করা কয়েকজন ভুক্তভুগী গ্রাহক জানান, তারা ট্রায়াল বেসিসে পাঠাও ওয়ালেটে রিচার্জ করেছিলেন কিন্তু হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা সেই টাকা ব্যবহার ও করতে পারছেন না। আর অফিস থেকে যাওয়া আসার সময় না পাওয়ায় সে টাকা উত্তোলন ও করা হচ্ছেনা।
এত অভিযোগ যখন পাঠাও পে এর দিকে তখন এর অনুমদোনহীনতা কে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ জানায় পাঠাও পে অনুমোদনহীন নয় বরং এর সেবা উন্নত করনে কাজ চলছে। এছাড়াও সবার টাকাও ইতিমধ্যে পরিশোধ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা ।
তবে অনুমোদন এর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এর গণমাধ্যম মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, পুরো বিষয়টি এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি, বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন। এসময়ে এই গেটওয়ে ব্যবহার করে যে কোন প্রকার লেনদেনই অবৈধ। আমরা তো যে কাউকে এসকল প্রক্রিয়ার অনুমোদন দিয়ে দিতে পারিনা।
অন্যদিকে পাঠাও পে এর চালু করার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ ফাহাদ বার্তা২৪.কমকে জানান ‘ আমরা আসলে টাকা আদান প্রদান এর পুরো বিষয়টিকে সহজ করতে চেয়েছি। অন্যান্য গেটওয়ে ব্যবহার করতে হলে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হয় কিন্তু এখানে গ্রাহক ও চালক একেবারেই পরিশোধ করে দিতে পারছে।
এর বিড়ম্বনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে কোন পদক্ষেপ এর শুরুতেই বিড়ম্বনা থাকে , আস্তে আস্তে সেগুলো সীমিত হয়ে আসে।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের মে মাসে চালু হয় এই পাঠাও ই-ওয়ালেট তবে চালু হবার কয়েকমাস পরই এই ওয়ালেট সেবা ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন অনুমোদনহীন ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরই কারিগরি প্রক্রিয়ার উন্নয়ন চলছে এমন বার্তা প্রদান করে সম্পূর্ণ সেবা বন্ধ করে দেয় পাঠাও কর্তৃপক্ষ।