কৃষকদের ধানের টাকা দিচ্ছেন না খাদ্য কর্মকর্তা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলা খাদ্য গুদামে কৃষকদের কাছ ধান ক্রয় চলছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলা খাদ্য গুদামে কৃষকদের কাছ ধান ক্রয় চলছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারিভােবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের পরও চেক অথবা টাকা না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন চৌধুরীর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।

সূত্র জানায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ ধান এক হাজার ৪০ টাকা দরে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৬ মে উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউপির হাসানপুর গ্রামের সোলাইমানের কাছ থেকে বিআর ৬৭ জাতের ৫০ মণ ধান ক্রয় করে গুদাম কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এসব ধান গুদামজাত করলেও এখনো মূল্য পরিশোধ করা হয়নি। টাকার জন্য গেলে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

অপরদিকে, জোড্ডা গ্রামের কৃষক মাহবুবুল হকের কাছ থেকে গুদাম কর্তৃপক্ষ গত ২৬ মে হীরা ১২০৩ জাতের ৫০ মণ ধান ক্রয় করে। একই ইউনিয়নের পানকরা গ্রামের কৃষক এস আর শাহাবুদ্দিন ভুঁইয়ার কাছ থেকে গত ২৫ মে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ২৮ জাতের ৭৫ মণ ধান ক্রয় করে। তাদেরকে ধানের মূল্য বাবদ বার বার তারিখ দিয়েও চেক অথবা টাকা কোনোটাই দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে কৃষক সোলাইমান, মাহবুবুল হক ও এস আর শাহাবুদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তালিকা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রতিজন কৃষকের কাছ থেকে ১২০ কেজি থেকে শুরু করে তিন টন পর্যন্ত ধান ক্রয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অনুযায়ী সকল নিয়ম মোতাবেক খাদ্য গুদামে গিয়ে ধানগুলো দেওয়ার পর গুদাম কর্তৃপক্ষ উৎকোচের জন্য ধান বিক্রয়ের চেক দিচ্ছে না।

নাঙ্গলকোট উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজী নিষেধ করাতে তাদেরকে ধান ক্রয়ের চেক দেওয়া হচ্ছে না।’

ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন থেকে ২০ জন কৃষক থেকে ২০ টন ধান ক্রয় করা হবে। প্রতি জন থেকে এক টন করে ধান ক্রয় করার জন্য গুদাম কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’

এদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাউদ হোসেন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।