খুলনার রূপসা উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার রহিমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রূপসা গাজী মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গাজী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের অদূরে স্থাপিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলী আকবর শেখের নির্বাচনী কার্যালয়ে এ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় নির্বাচনী অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরসহ বেশ কিছু পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
রূপসা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী আকবর শেখ বার্তা২৪. কমকে অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা আমার কয়েকটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। নির্বাচনে অরাজকতা সৃষ্টি করে আমাকে হারানোর জন্য প্রতিপক্ষ এ কাজ করছে।
স্থানীয় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ইন্সপেক্টর মঞ্জুর মোর্শেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিস্থিতি শান্ত আছে। কেন্দ্রের ভেতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সকালে বাইরে একটু উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
রহিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সরকার জুলফিকার আলী জানায়, দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ৪০০ ভোট পরেছে। কেন্দ্রের মোট ভোটার ২০০০। আমার আওতাধীন কেন্দ্রের পরিবেশ ভালো। বাইরে কি হচ্ছে আমি জানিনা।
ভাঙচুরের পরে কেন্দ্রটিতে মোবাইল কোর্ট ও বিজিবি টহল দিয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনার ৮ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। সকালে উপজেলার এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। ভোট গ্রহণের জন্য কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও ভোটার উপস্থিতি তেমন চোখে পরেনি। খুলনার ৮ উপজেলায় ৩ হাজার পুলিশ, ৫ হাজার ১৪৮ আনসার, ২৪ প্লাটুন বিজিবি ও ২০৫ জন কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি র্যাব ও সাদা পোশাকের টিম নির্বাচনী মাঠে আছে।