‘থাকিত না হৃদয়ের জরা, সবাই স্বপ্নের হাতে দিত যদি ধরা!’ এই প্রতিপাদ্যে বরিশালে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ এর ১২০তম জন্মদিন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী জীবনানন্দ মেলা-২০১৯ শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় সরকারি ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) মূল ভবনের মাঠে উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে এই মেলার উদ্বোধন করেন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক প্রফেসর মোঃ শফিকুর রহমান শিকদার।
উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোঃ জুবায়ের রহমান শাহেদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজমোহন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ আল আমিন সরোয়ার, উদীচী বরিশাল সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন, বাসদ জেলা সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী, কবি হেনরি স্বপন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম, জীবনানন্দ মেলার প্রধান উদ্যোক্তা সৈয়দ মেহেদী হাসান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নাজমুল হোসেন আকাশ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জীবনানন্দ মেলার উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব মোঃ মাসুদুর রহমান আকাশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা, কবি জীবনানন্দ দাসকে সকলের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে কলেজ ক্যাম্পাসে জীবনানন্দ ভাস্কর্য বা জীবনানন্দ মিউজিয়াম করার জোর দাবি জানায়।
এদিকে, তিন দিনব্যাপী মেলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে বিনোদনের জন্য নাগরদোলারও ব্যবস্থা রয়েছে।
জীবনানন্দ মেলা উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক উদয় শংকর দাস জানান, বিগত তিনবছর ধরে জীবনানন্দ মেলার আয়োজন করে আসছে উত্তরণ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার চতুর্থতম বছরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জীবনানন্দ মেলা শুরু হয়েছে।
ব্রজমোহন কলেজের যে মাঠে জীবনানন্দের সর্বদা বিচরণ ছিল, কলেজের যে ভবনে সময় পার করতেন সেইসব ইতিহাসকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে ও জীবনানন্দের চর্চা অব্যাহত রাখতে এই আয়োজন।
তিনি আরও জানান, তিন দিনব্যাপী মেলায় বইয়ের হস্তশিল্প এবং কুটির শিল্পসহ ৩০টি স্টল রয়েছে। পাশাপাশি কবি জীবনানন্দ ও ভাষা সাহিত্যের দুটি স্টল রয়েছে।
একই সাথে মেলার তিনদিনে দুই পর্বে ৬টি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন, কবিতা পাঠ ও জীবনানন্দের কবিতা থেকে গান পরিবেশিত হবে।
এছাড়া জীবনানন্দ দাশ-এর জীবনী নির্ভর নাটিকা এবং আলেখ্য পরিবেশিত হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।