একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে চারজনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চারটি মনোনয়নপত্র জমা দেন দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
সালমা আক্তার, রওশনারা মান্নান, নাজমা আক্তার ও মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীর মনোনয়ন জমা দেয়া হয়েছে। যাচাই বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল না হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন তারা।
সংসদে জাতীয় পার্টির ২২ জন সদস্য রয়েছেন। সে অনুযায়ী দলটি চারটি সংরক্ষিত আসন পাবেন।
বিজ্ঞাপন
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম জিন্না এমপি, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী এমপি, যুগ্ম মহাসচিব লিয়াক হোসেন খোকা উপস্থিত ছিলেন।
তফসিল অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি। প্রত্যাহার ১৬ ফেব্রুয়ারি। আর ভোট ৪ মার্চ।
বরিশাল মহানগরী এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে রোববার সন্ধ্যা থেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবারের পূজায় বরিশাল মহানগরীর ৮৬টি পূজামণ্ডপে এবং বরিশাল বিভাগের এক হাজার ৩৪২টি স্থায়ী ও বেশকিছু অস্থায়ী এবং পারিবারিক মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়।
বরিশাল মহানগর পুলিশ (বিএমপি) এবং স্থানীয় প্রশাসন এবার পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ৬১২টি মণ্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ, ৪৯২টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ৪৯১টি মণ্ডপকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিটি মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যার ফলে পূজা উৎসবটি কোন রকম বিপত্তি ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা থেকে বরিশাল মহানগরীসহ পুরো অঞ্চলের বিভিন্ন মণ্ডপে দেবী দুর্গার বিসর্জন শুরু হয়। বিসর্জনের সময় বিষাদের ছোঁয়া দেখা গেলেও পূজা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে প্রশাসন, পুলিশ এবং সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এবং রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং শান্তিপূর্ণ উৎসবের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রশাসনের এ ধরনের তৎপরতা এবং নজরদারির ফলে পূজাটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়।
ভোলার লালমোহনে সাপের কামড়ে রিজিয়া বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রিজিয়া রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রায়চাঁদ এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায় শনিবার সন্ধ্যায় চুলার পাশ থেকে লাকড়ি সরাতে গিয়ে সাপের কামড়ে আহত হন রিজিয়া। তাকে স্থানীয় ওঝার কাছে নেওয়ার পর তার অবস্থা খারাপ হলে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুখে লাল রং মেখে দেবী দুর্গার বিদায়ী বার্তা নিয়ে এসেছে হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। চোখে টলমল পানি৷ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিমা নিরঞ্জনের মাধ্যমে শেষ হবে শারদীয় দুর্গা পূজার উৎসব। চাররদিকে শত শত ঢাকের বাঁশির শব্দে গগনবিদারী আওয়াজ। সারিবদ্ধভাবে রাখা পৌর এলাকার ১৪টি প্রতিমা৷ সামনে নেচে-গেয়ে শেষ বিদায় দিতে অপেক্ষায় পূজারীরা৷
এই দৃশ্য কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌর এলাকায় সরকারি কলেজের খেলার মাঠে অস্থায়ী দশমী ঘাটের। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধার পরই নিরঞ্জন দেওয়া হয়েছে।
এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যুগের পর যুগ ধরে অম্লান ঐক্যের বন্ধন। পৌর এলাকার সবগুলো প্রতিমা একসাথে করে মহা ধুমধামে নিরঞ্জন দিয়ে আসছে তারা৷ এতে করে সামাজিক ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় হচ্ছে৷
দর্শনার্থী দিপক সাহা বলেন, 'এখনো সমাজিক বন্ধন রয়েছে এখানে৷ একসাথে এতগুলো পূজা নিরঞ্জন আর কোথাও দেখা যায় না এখন আর৷ শত শত ঢাকের আওয়াজে আমাদের মনের মধ্যে অন্যরকম তৃপ্তি কাজ করে৷ সবাই আনন্দ করে নিরঞ্জন দিলাম৷'
অভিজিৎ বণিক নামে আরেক পূজারী বলেন, 'অসাধারণ দৃশ্য এখানে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সামাজিক সম্পর্ক। বিচ্ছিন্ন নিরঞ্জন না দিয়ে একসাথে সবাই আনন্দ করে দেওয়া হয়৷'
জেলায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় পূজা হয় কটিয়াদী উপজেলায়৷ এখানে এবার মোট ৩৩টি পূজা মণ্ডপে পূজা হয়েছে। এর মধ্যে, পৌর এলাকাতে ১৪টি ও বাহিরের এলাকায় পূজা মণ্ডপ রয়েছে ১৯টি। অতীতের চেয়ে শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করার কথা জানান পূজারী ও আয়োজকরা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে কম গেছে তাপমাত্রা। স্বস্তি ফিরেছে জন জীবনে। এর মধ্যে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সোমবারের (১৪ অক্টোবর) মধ্যে বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি বিদায় নেবে। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম অঞ্চল ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামীকালের (সোমবার) মধ্যে বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকেও বিদায় নিতে পারে। তবে আগামী দুদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
এ অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশের সব বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পরের ২৪ ঘণ্টাও দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে রোববার রাত এবং সোমবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তবে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরদিন বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিনের তাপমাত্রা ফের কমতে পারে।