ব্যবসায়ীর মারধরে দিনমজুরের মৃত্যু!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যবসায়ীর মারধরে দিনমজুরের মৃত্যু। ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্যবসায়ীর মারধরে দিনমজুরের মৃত্যু। ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশালে প্রতিবেশী ব্যবসায়ীর মারধরে দুলাল ঢালী (৪৫) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাতে নগরীর বিমানবন্দর থানাধীন লুৎফর রহমান সড়কের শাহজালাল লেনে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

নিহত দিনমজুর দুলাল ঢালী (৪৫) লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা বশির উদ্দিন ঢালীর ছেলে।

নিহতের স্ত্রী সুমী আক্তার জানান, শুক্রবার রাতে তার স্বামী দুলাল ঢালী (৪৫) মেজাজ খারাপ করে ঘরে ফেরে। এরপর সে গোসল করতে যায়। কিন্তু গোসল না করে স্ত্রীর কাছে এসে একটি দা চায়। প্রতিবেশী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যা করবে বলে দা নিয়ে বের হয়। কিন্তু এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পাশাপাশি তার একটি কান থেকে অঝোরে রক্ত ঝরতে শুরু করে।

তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

নিহতের ভাগ্নে নিশাত জানান, কিছুদিন ধরে তার মামা দুলাল ঢালী, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর এবং স্থানীয় শাহ আলমসহ বেশ কয়েকজনের মধ্যে পিলারের ম্যাগনেট সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে দাবি তার।

এদিকে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিমানবন্দর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান আহমেদ। এ সময় থানার অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পরে নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুলাল ঢালীর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিমের মর্গে পাঠান।

বিমানবন্দর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান আহমেদ জানান, দুলাল ঢালীর শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যু হয়। স্বজনরা সেখান থেকে লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে লাশ উদ্ধার করে পুনরায় শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, মৃত দুলাল ঢালীর স্ত্রী অভিযোগ করেছে তার স্বামীকে ঘরের পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা করেছে। তবে এমন অভিযোগ করা হলেও দুলাল ঢালীকে মারধরের ঘটনা কেউ দেখেনি। যে কারণে আপাতত ঘটনাটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু সেটা বলা যাচ্ছে না।

ইমরান আহমেদ জানান, তবে মৃত দুলাল ঢালীর কান থেকে রক্ত বের হওয়ার আলামত সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না অন্য কিছু।