ইসির সব নথি কমিশনারদেরও পাঠানোর নির্দেশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চার কমিশনারের অভিযোগের মুখে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সকল নথি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি কমিশনারদের কাছেও পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ অক্টোবর) এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে ইসি সচিবালয়। 

বিজ্ঞাপন

ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, ইসি সচিবালয়ের সব কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন বিধি-বিধান, রীতি, পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। সচিবালয়ের কিছু কিছু কার্যক্রমে ইসি সচিবালয়ের আইন ও কার্যপ্রণালী বিধিমালার বিধি বিধানের ব্যত্যয় ঘটেছে। যা চার কমিশনারের নজরে এসেছে। এই সংক্রান্ত বিধি-বিধান প্রতিপালন করে ইসি সচিবালয়ের সব কাজ পরিচালনার জন্যে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

মাঠ কর্মকর্তা-কর্মচারি থেকে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত সকলকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইন-বিধি যুক্ত করে অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘শাখা হতে কোনো বিষয়ে নথি উপস্থাপনকালে তা কোন পর্যায়ে নিষ্পত্তি হবে তা নথিতে উল্লেখ থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন বরাবর কোন নথি উপস্থাপন হবে তা কার্যপ্রণালী বিধির তফসিলে উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বরাবর উপস্থাপিতব্য বিষয়াদির ক্ষেত্রে এই বিধির ৩(৫) অনুসরণ করতে হবে।’ 

এদিকে প্রায় এক মাস পর মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষে চার নির্বাচন কমিশনার দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। ইভিএম নিয়ে আরপিও সংস্কার সংক্রান্ত ৩০ আগস্টের বৈঠকের পর ইসিতে সিইসির কক্ষে ঘরোয়া বৈঠক হয়নি বলে জানান ইসির কর্মকর্তারা।

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হোটেল রেডিসনে একসঙ্গে ফেমবোসা সম্মেলনে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনাররা। ৩ সেপ্টেম্বর ও ২২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে ছিলেন না তারা। 

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে ‘ইউও নোট’ দেন চার নির্বাচন কমিশনার। এই নোটের একটি কপি সিইসি বরাবরও দেওয়া হয়। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এই চার নির্বাচন কমিশনারকে বাদ দিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের সচিব ও সিইসি নিতে পারেন। ফলে সচিবালয়ের অনেক বিষয়ই অজানা থেকে যায় এই চার কমিশনারের কাছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয়ের সিদ্ধান্ত ও কিছু বিষয়ে জানতে চেয়ে ‘ইউও নো ‘ দেন কমিশনাররা।

চার নির্বাচন কমিশনারের ইউও নোটে বলা হয়েছিল- ‘নির্বাচন কমিশন কার্যপ্রণালী বিধিমালার ৩ বিধির উপ-বিধি ৫ এ কমিশনের কাছে উপস্থাপিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে। যে পদ্ধতিতেই নিষ্পত্তি করা হউক না কেন বিধির ৪(৪) উপ-বিধি মতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে বিষয়াদি নিষ্পত্তি করার বিধান থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।