‘সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনের মিল ছিল’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা/ ছবি: শাহরিয়ার তামিম

মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা/ ছবি: শাহরিয়ার তামিম

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের মিল ছিল। সত্যাগ্রহ আন্দোলন গান্ধীর আইডিয়া হলেও সেটা কার্যকরভাবে আন্দোলনে ব্যবহার করেছেন বঙ্গবন্ধু।’

মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  'মহাত্মা গান্ধী ও বিশ্ব শান্তি' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে 'বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি।'

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/01/1538402966544.jpg

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘গান্ধীজি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি।’ 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘গান্ধী প্রকৃত অহিংসবাদী নেতা ছিলেন, ছিলেন মানবতার প্রতীক। তাঁর আদর্শ, জীবন ও শিক্ষা সকলের জন্য অনুসরণীয়। তাঁর অহিংস আন্দোলন, মানবতাবাদী দর্শন ও সহিষ্ণুতা শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ নয়, সারাবিশ্বের জন্য এক আলোকবর্তিকা।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘অহিংসা ছিল তাঁর জীবন দর্শন। ছোটবেলা থেকেই মানবতাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন তিনি।’

'পৃথিবীর আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য মহাত্না গান্ধীর মত মহাপুরুষদের আগমন হয়। সাধারণ রাজনীতিবিদের সঙ্গে তাঁকে তুলনা করা যাবে না। ভারতবর্ষের যে কোনো জায়গার চেয়ে বাংলার সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল।’

সংগঠনের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনা করেন ভারতীয় হাইকমিশনের রাজনৈতিক সচিব নভনিতা চক্রবর্তী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী।