বিশ্বমানের হবে কলকাতার নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বর
কলকাতার রবীন্দ্রসদন, নন্দন, শিশির মঞ্চ, বাংলা একাডেমি এবং কলকাতা তথ্যকেন্দ্র একই চত্বরে অবস্থিত। আর এই চত্বরের চেহারা আমূল পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক মানের রূপ দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উদ্দেশ্য, অঞ্চলটাকে ভারতের সংস্কৃতি চর্চার এক নম্বর গন্তব্যস্থল করে তোলা।
সে জন্য এই কাজে হাত দেওয়ার আগে ভারতের প্রথম সারির প্রকৌশলী বা স্থপতিদের নিয়ে এক অভিনব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে বেশ কিছু নামজাদা সংস্থা তাদের প্রস্তাব জমা করেছে। সেরা স্থপতি সংস্থাকে পারিশ্রমিক ছাড়া ৫ লাখ রুপির পুরস্কারও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কর্মকর্তাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির আবহকে বজায় রেখেই ওই চত্বরকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে হবে। যাতে দেশ বিদেশের মানুষ সংস্কৃতির এই পীঠস্থানে পা রাখলেই বাংলার সমাজ, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি পলকে চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
পশ্চিমবাংলা সম্পর্কে তাদের উৎসাহ তৈরি হয়। একই সঙ্গে ওই এলাকার হেরিটেজও অক্ষত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া পরিবেশগত শর্তাবলি তো আছেই। তবে মমতার নির্দেশ রবীন্দ্র সদন, নন্দনসহ ওই চত্বরের কোনো ভবনেরই কাঠামো বদল করা যাবে না।
রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকার ওই চত্বরের ব্যাপারে কী কী পরিকল্পনা করেছে। যেমন সরকার চাইছে, ওই সব ভবনের ফাঁকা জমিতে এমন রেস্তোরাঁ তৈরি করা হোক, যেখান থেকে গোটা চত্বরটির ভিউ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ফুড কোর্ট থেকে নন্দন, রবীন্দ্রসদন, বাংলা একাডেমি সবই দেখা যাবে।
এছাড়া নন্দন সিনেমা হলের টিকিট কাউন্টারের সাথেই থাকবে লাইব্রেরি ও রিডিং রুম। ওই লাইব্রেরিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত সাহিত্য সংস্কৃতির বই, পত্রিকা রাখা হবে। পাঠকদের পড়ার জন্য আলাদা রিডিং রুম থাকবে। রাখতে হবে একটি সাধারণ বসার জায়গাও। থাকতে হবে এটিএম কাউন্টার। এছাড়া চত্বরটাকে বিশ্বমানের করে সাজানোর জন্য আরও অনেক কিছুর আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে।