কলকাতায় চাঙা কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট
পশু কেনা-বেচা ও হাট বসানোর উপর ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিল আরোপের পরও গত বছর কলকাতায় এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সেবারও অস্থায়ী পশুর হাট বসেছিল কলকাতায়। এ বছরও কলকাতাজুড়ে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। শুক্রবার এসব হাটে বেচা-কেনা ভালো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে।
কলকাতার ইতিহাস বলে, ঈদের আগে কলকাতাজুড়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অস্থায়ী পশুর হাট বসে। আর এসব হাটে ঈদের দুদিন আগে থেকে শুরু হয় পুরোদমে বেচা-কেনা। এসব অস্থায়ী হাটের বিক্রেতারা আসেন পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকে।
পার্শ্ববর্তী মালদা, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বাইরের উত্তরপ্রদেশ, রাজ্যস্থান থেকেও পশু আসে কলকাতার হাটে। কলকাতার স্থানীয়দের মাঝে বাইরে থেকে আসা পশুর প্রতি আগ্রহ বেশি। এর মধ্যে আছে উট, দুম্বা ও উন্নত জাতের খাসি।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতার যেসব স্থানে অস্থায়ীভাবে কোরবানির পশুর হাট বসে তার মধ্যে অন্যতম হলো- নাখোদা মসজিদের পাশে জাকিরিয়া স্ট্রিট, নারকেলডাঙা, রাজাবাজার, খিদিরপুর, গার্ডেন রিচ ও মেটিয়াব্রুজ। এর বাইরেও পাঁচ থেকে ছয়টি অস্থায়ী পশুর হাট বসে কলকাতায়।
বাজারসূত্র জানায়, কলকাতার বাজারে একটি দেড় থেকে দুই মণ ওজনের গরুর দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার ভারতীয় রুপি। ৪০ থেকে ৪৫ হাজার রুপিতে পাওয়া যাবে সাড়ে তিন থেকে চার মণ ওজনের একটি গরু। এক জোড়া খাসির দাম পড়ছে ২০ থেকে ৪০ হাজার রুপি।
তবে কলকাতায় বিদেশি পশু খ্যাত উট ও দুম্বার দাম এবার অন্য বছরের তুলনায় বেশি। একেকটি উটের দাম পড়ছে কমপক্ষে এক লাখ রুপি। যা গত বছর ৮০ থেকে ৯০ হাজার রুপিতে পাওয়া যেত।
এদিকে মসলার দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। কারণ গত বছরের তুলনায় এবার তেমন বাড়েনি মসলার দাম।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের তীব্র সমালোচনার মধ্যেই জাতির দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পশু কেনা-বেচার উপর বিল বাতিলের ঘোষণা দেয়। ফলে কোরবানির আগে কাশ্মীরসহ সারা ভারতের মুসলিমদের পশু কেনা-বেচায় কোনো সমস্যা থাকল না।
তবে প্রকাশ্যে কোরবানির বিষয়ে গত বছরের নির্দেশনা বহাল রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পুরো ভারতজুড়ে প্রকাশ্যে কোরবানি বন্ধ করা হয়েছে। একই সাথে পথে ঘাটেও কোরবানি করা নিষেধ রয়েছে।