গণপিটুনি রোধে আইন হয়নি কেন, জানতে চেয়েছে আদালত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী

প্রতীকী

গোহত্যা বা গরু পাচারের অভিযোগ কিংবা চোর বা ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু বা বিদ্বেষের ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে ভারতে। গণপিটুনি ঠেকাতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট গত বছর নির্দেশ দিয়েছিল নতুন আইন আনতে।

কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এমনকি প্রতিটি রাজ্য সরকার, এ বিষয়ে গাছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে। সে কারণে আদালত ক্ষুব্ধ হয়ে ফের নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্যে। জানতে চাওয়া হয়েছে, এখনও কেন মানা হয়নি নির্দেশ।

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি দীপক গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা তেহেশান পুনাওয়ালা। আবেদন ছিল, গোহত্যা ও গরু পাচারের অভিযোগ, চোর বা ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু বা বিদ্বেষের ঘটনা দমন করতে কড়া আইন আনতে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। কারণ, দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনি ও হিংসার ঘটনা ঠেকাতে কোন সরকারি পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।

ওই বছর ১৭ জুলাই এ মামলার শুনানিতে কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্যের সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়, গণপিটুনি বা বিদ্বেষের মতো ঘটনা ঠেকাতে আইন আনা হোক সংসদে। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে সরকার পক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

এরপরই সুপ্রিম কোর্টে সোমবার (২৯ জুলাই) জনস্বার্থ মামলার আইনজীবী জানান, গণপিটুনি বা সাম্প্রদায়িক হিংসার মতো ঘটনা ঠেকাতে গত বছর কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্য সরকারকে বিশেষ নির্দেশিকা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মতো কেন্দ্র বা রাজ্য কোন তরফেই নির্দিষ্ট আইন না আনার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্বেষের ঘটনা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।

ঘটনাটি সামনে আসতেই ক্ষুব্ধ হন শীর্ষ আদালত। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্র ও প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছে কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠান।