ভারতের উত্তরপ্রদেশের ভোটে নজর গোটা বিশ্বের
ত্রিমুখী লড়াইয়ের একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্যদিকে মায়াবতী আর অখিলেশ যাদব অর্থাৎ বুয়া-ভাতিজা জোট, আর একদিকে রাহুল গান্ধী আর সোনিয়া গান্ধীর লোকসভা আসন। যেখানে পালে হাওয়া তুলছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এটাই ভারতের হিন্দিভাষী বলয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে নির্বাচনের নিরিখে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ।
ভারতের অবস্থিত হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোকে ভারতের রাজনীতিতে ‘গো বলয়’ বলে অভিহিত করা হয়। এই রাজ্যগুলি ভারতের রাজনীতির বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। আর তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ প্রদেশটিই প্রধান।
ভারতের লোকসভা ভোটে ৫৪৩টি আসনের এককভাবে কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আসতে হলে প্রয়োজন ২৭২টি আসনে জয়। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই রয়েছে ৮০টি লোকসভা কেন্দ্র। অন্যান্য রাজ্যের নিরিখে এই রাজ্যটিতে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্র। 'হাই ভোল্টেজ' এই রাজ্যে এবারেও লোকসভা নির্বাচনের বারানসি থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির গড় বলে পরিচিত লখনউ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাজনাথ সিং এবং মথুরা থেকে দাঁড়িয়েছেন সেখানকার বর্তমান এমপি তথা বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী।
অপরদিকে এই রাজ্যেরই রায়বেরিলি ও আমেথি থেকে লড়ছেন গান্ধী পরিবার অর্থাৎ সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। তবে নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে প্রার্থী না ময়দানে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারের ঝড় তুলেছেন সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এরই সঙ্গে প্রচারের কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। স্বাভাবিক ভাবেই এই রাজ্যের ভোটের উপর আগ্রহ থাকবে সকলের। শুধু কংগ্রেস বিজেপি নয় বুয়া-ভাতিজা জুটি অর্থাৎ সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির জোটের কাছেও এই নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষা।
এবার বাবা মুলায়ম সিং যাদবের কেন্দ্র আজমগড় থেকে ভোটে প্রার্থী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। ভোটে লড়ছেন অখিলেশ পত্নী ডিম্পল যাদবও। তার কেন্দ্র কনৌজ। বদায়ুন কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ধর্মেন্দ্র যাদব।
গত নির্বাচনের পরিসংখ্যান যদি দেখা যায় তবে অবশ্যই এগিয়ে আছে বিজেপি। ২০১৪ সালে এই রাজ্যে একক ভাবে ৭৩ আসন জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তাই তাদের কাছে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজনৈতিক তাৎপর্যের কারণেই গোটা দেশে সহ সমগ্র বিশ্বের নজরে রয়েছে ভারতের এই রাজ্যের রাজনীতি ওপর।