ভীমসেন জোশী
ছোটবেলায় ‘ঠুংরি’ শুনে আগ্রহী হয়েছিলেন সংগীতে। তবে ‘খেয়াল’ দিয়েই শুরু হয়েছিল তার সংগীতের চর্চা। ‘কিরানা ঘরানা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ওস্তাদ আবদুল করিম খানের প্রধান শিষ্য ছিলেন তিনি। কথা হচ্ছে- হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভীমসেন জোশীকে নিয়ে।
আজ এই গুণী শিল্পীর অষ্টম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১১ সালের এইদিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই শিল্পী।
১৯২২ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের কর্নাটক রাজ্যে এক মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন ভীমসেন। বাবা গুরুরাজ জোশী ছিলেন স্কুলশিক্ষক। সংসারে ১৬ ভাই-বোনের ভেতর ভীমসেন ছিলেন সবার বড়।
সংগীত শেখার জন্য ভীমসেন ঘর ছেড়েছিলেন মাত্র ১১ বছর বয়সে। বিখ্যাত সরোদবাদক ওস্তাদ হাফিজ খানের সহায়তায় ভর্তি হলেন মহারাজের সংগীত স্কুলে। এরপর বছর তিনেক একজন ভালো গুরু সন্ধানে ঘুরে বেড়ান উত্তর ভারত।
১৯৪৩ সালে ভীমসেন এলেন মুম্বাইয়ে। পেশাদার সংগীতশিল্পী হওয়ার বাসনায়। ভাগ্য সাথেই ছিল তার। হলেন রেডিওর শিল্পী। ১৯ বছর বয়সে প্রথম লাইভ পারফমেন্স। ২২ বছর বয়সে প্রকাশ জীবনের প্রথম অ্যালবাম। প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেছিল বিখ্যাত এইচএমভি।
২০০৮ সালে ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত বেসরকারি পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ খেতাব পেয়েছেন তিনি।