অনুরাগ বাসুর নতুন ছবি
ইতিমধ্যেই পরিচিত তিনি। তিনি ‘দঙ্গল’খ্যাত নায়িকা ফতিমা সানা শেখ। নতুন সিনেমায় তিনি জোট বাঁধছেন রাজ কুমার রাও এর সঙ্গে। অনুরাগ বাসুর এই ছবি মানুষের নজর কাড়বে বলে আশা করা যায়। ভূপালে ইতিমধ্যেই ছবির শুটিং শুরু হয়ে গেছে।
ইতিমধ্যেই পরিচিত তিনি। তিনি ‘দঙ্গল’খ্যাত নায়িকা ফতিমা সানা শেখ। নতুন সিনেমায় তিনি জোট বাঁধছেন রাজ কুমার রাও এর সঙ্গে। অনুরাগ বাসুর এই ছবি মানুষের নজর কাড়বে বলে আশা করা যায়। ভূপালে ইতিমধ্যেই ছবির শুটিং শুরু হয়ে গেছে।
মানহানির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
এরপর বেলা ১১টা ২৩ মিনিটের দিকে জামিন বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। উর্মির পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম এই জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে ২৮ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি গত ৫ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লিখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়।
গত ২৩জুন, রবিবার কলকাতার রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র চমৎকার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের নাম 'অঞ্জলি লহ মোর'। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের ৩০০ জন শিল্পী এই নজরুল-প্রণামে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ঠিক সকাল ৯টায়, শেষ হয় দুপুর ১টা। সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন ছায়ানট সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। প্রভাতী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান এবং 'পুবের কলম' পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিদ্যাভবনের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. সুজাতা ঘোষ এবং পাকড়াশি হারমোনিয়ামের কর্ণধার শ্রী শুভজিৎ পাকড়াশি।দলীয়ভাবে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন গীতলেখা, গীতিলোক সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস, গানের সাথী, চারুশীলে, স্বরলিপি সঙ্গীত কেন্দ্র (হাওড়া), সপ্তসুর - এর শিল্পীবৃন্দ।
কাজী নজরুল ইসলামের প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন
পুনশ্চ রবীন্দ্রানুসারী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র এবং কলাপী নিউটাউন - এর শিল্পীবৃন্দ। দলীয়ভাবে নজরুল কবিতা আবৃত্তি করেন উচ্চারণ, কাব্যাঙ্গন, শ্রুতিমন, ব্রততী পরম্পরা (বারাকপুর শাখা) - এর শিল্পীবৃন্দ। এককভাবে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা পাঠ করেন কল্লোল বসু, সুকন্যা রায়, দেবযানী বিশ্বাস, মিতালী ভট্টাচার্য্য, অপরাজিতা মল্লিক, শতানীক ভট্টাচার্য, সংঘমিত্রা ব্যানার্জী, অরণ্য স্পন্দন ভদ্র, মৌমিতা ঘোষ, ইন্দ্রাণী নাগ, ডাঃ সৌমিত্র নারায়ণ শূর, সোহালিয়া সিং, জয়িতা দত্ত এবং গোপা ভট্টাচার্য্য রায়।
একক নৃত্য পরিবেশনায় প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপি এবং সায়নী দাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন মুদ্রা ডান্স আকাদেমি, ঠাকুরপুকুর চিদানন্দ ড্যান্স একাডেমি, আঙ্গিকম ডান্স একাডেমী - এর শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অমিতাভ নাথ এবং তানিয়া চ্যাটার্জ্জী। সমগ্র অনুষ্ঠান নজরুলপ্রেমীদের উদ্দেশ্যেই নিবেদিত বলেই জানান কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র - এর এবং ছায়ানট সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। সকলের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান সফল হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানের বিশেষ সহযোগিতায় ছিল ভারতীয় বিদ্যাভবন, পাকড়াশি হারমোনিয়াম এবং রিয়েল প্লাস্ট।
আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছায়ানট (কলকাতা) অক্সফোর্ড বুকস্টোরে 'চেতনায় নজরুল' অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৫টায়। ছায়ানট (কলকাতা) - এর উদ্যোগে তৈরি নতুন অ্যালবাম 'নজরুলকে নিবেদিত পংক্তিমালা' অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান এবং 'পুবের কলম' পত্রিকার সম্পাদক জনাব আহমদ হাসান ইমরান।
কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন কবির কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। ভারত এবং বাংলাদেশ মিলে ৩৪ জন বাচিক শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন এই অ্যালবামে। যাঁদের লেখা কবিতা স্থান পেয়েছে এই অ্যালবামে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম - কুমুদরঞ্জন মল্লিক, অন্নদাশঙ্কর রায়, নরেন্দ্র দেব, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, আশাপূর্ণা দেবী, ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। মোট ৬৭ জন কবির ৭২টি কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। এছাড়াও ছিল নজরুল-কবিতা পাঠের আসর। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতা মল্লিক।
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সুকন্যা রায়, শ্রবণা ভট্টাচার্য, দেবযানী বিশ্বাস, ডাঃ সৌমিত্র নারায়ণ শূর, ইন্দ্রাণী নাগ, শতানীক ভট্টাচার্য্য, স্নেহাঙ্গনা ভট্টাচার্য, মিতালী ভট্টাচার্য্য, সুজল দত্ত, স্বপ্নিকা দাস রায়, স্বর্ণিকা দাস রায়, মহুয়া বসু, রাজশ্রী বসু, প্রাযুক্তা চক্রবর্তী, অপর্ণা চক্রবর্তী, চিত্রা সোম বাসু, পাপিয়া মুখার্জী, ব্রততী চক্রবর্তী, সন্দীপ ভট্টাচার্য, সীমা দাশগুপ্তা, মাধবী দে, তপন ঘোষ, সঞ্চয়িতা মিত্র, সুস্মিতা ঘোষ, আর্যদ্যুতি ঘোষ, অর্ঘ্যদ্যুতি ঘোষ এবং দিয়ান দাস।
দলীয় পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন কল্যাণী শ্রুতিকল্পর শিশুশিল্পীরা।