টেলিভিশনে কাবা শরিফের লাইভ দেখা কতটুকু উপকারী

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কা শরিফ, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

মক্কা শরিফ, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবাঘর যেকোনো মুসলমানের বাসনা ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। মুমিনমাত্রই কাবাঘর ও রাসূলের রওজার সবুজ গম্বুজের স্বপ্ন দেখে।

ইমাম বায়হাকি ও তাবরানি একটি হাদিস বর্ণনা করেন। তাতে উল্লেখ আছে, হজরত আবু উমামা (রা.) হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- চার স্থানে আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং দোয়া কবুল করা হয়। নামাজের কাতার ঠিক করার সময়, বৃষ্টি বর্ষণের সময়, নামাজ আদায়ের সময়; নামাজের ইকামতের সময় ও কাবাঘর দেখার সময়। -বায়হাকি, হাদিস নং: ১৭৯৬, তাবরানি, হাদিস নং: ৭৬১৩

বিজ্ঞাপন

কাবা শরিফ দেখা এবং তাওয়াফে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও মর্যাদা। হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বাইতুল্লাহ তথা কাবা শরিফের ওপর প্রতিদিন ১২০টি রহমত নাজিল করেন। তান্মধ্যে ৬০টি রহমত তাওয়াফকারীদের জন্য। ৪০টি রহমত নামাজ আদায়কারীদের জন্য, ২০টি রহমত কাবা শরিফ দর্শণার্থীদের জন্য।’

এ কারণে হজ-ওমরা পালনকারীরা কাবা শরিফ অবস্থানকালে যতটা সম্ভব মন ভরে কাবা শরিফ দেখেন, সাধ্যমতো বেশি বেশি তওয়াফ করার চেষ্টা করেন। যারা কোনো কারণে কাবা শরিফ তাওয়াফ করতে পারেন না, তারা মন ভরে কাবা শরিফকে দেখেন।

বিজ্ঞাপন

যেহেতু কাবাঘর দেখা সওয়াবের কাজ, তার দিকে তাকিয়ে থাকাও ইবাদাত। সেটা কবুলের মুহূর্তও। কিন্তু সে দেখাটা হতে হবে বাস্তবে সামনাসামনি। তা না করে টেলিভিশনে কাবাঘর লাইভ দেখাতে কোনো ফায়দা নেই।

তবে হ্যাঁ, কাবাঘর দেখে মানুষের মনে ভিন্ন কিছু অনুভূতি ও আবেগ তৈরি হয়। টেলিভিশনের পর্দায় আল্লাহর ঘর কাবা দেখার কারণে একটা পরিবর্তন আসতে পারে, এর দ্বারা ভালো কাজের অনুপ্রেরণা মনে জাগতে পারে। হজ-ওমরা পালন না করে থাকলে তা করার জন্য আগ্রহ তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া এর দ্বারা সুনির্দিষ্ট আর কোনো সওয়াব হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। ইসলামি স্কলাররা এর চেয়ে বেশি কিছু বলেননি।

সৌদি আরবের টেলিভিশন চ্যানেলে কাবা শরিফের তাওয়াফসহ নামাজ, সাফা-মারওয়ার দৃশ্য লাইভ দেখালে তার সঙ্গে কোরআন তেলাওয়াত চলতে থাকে। ওই তেলাওয়াত শোনার কারণে অনেকের মধ্যে দ্বীনি পরিবেশে থাকার কারণে দ্বীনের চর্চার একটা আবেগ কাজ করতে পারে। টেলিভিশনের লাইভে কাবা দেখায় এমন ফায়দা হতে পারে, তবে সুনির্দিষ্ট সওয়াবের বিষয়টি হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। এটা দেখলে সওয়াব হবে এটা বলার অবকাশ নেই। বরং টেলিভিশনে কাবা লাইভ না দেখে নফল কোনো ইবাদতে মশগুল থাকা অধিক উপকারী।