নামাজের মাধ্যমে মানুষ মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকে
নামাজ মানুষকে সব ধরনের মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ -সূরা আনকাবুত: ৪৫
নামাজ মানুষকে শুধু মন্দ কাজ থেকে বিরতই রাখে না, এ সময় বান্দা সহজে আল্লাহতায়ালার কাছাকাছি পৌঁছায়। নামাজে বান্দার সঙ্গে প্রভুর কথাবার্তা বিনিময় হয়। নামাজের মাধ্যমে বান্দা প্রভুর সঙ্গে মেরাজ লাভের সুযোগ পেয়ে থাকে। যা অন্য কোনো আমলের দ্বারা সম্ভব হয় না। নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে একাগ্রতা থাকলে মনের মধ্যে এক ধরনের প্রশান্তি আসে। তাই কোরআনে কারিমেও নামাজ আদায়ের জন্যে বেশি বেশি তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ওই সব ঈমানদাররা সফলকাম হয়েছে, যারা তাদের নামাজ খুশু-খুজুর সঙ্গে আদায় করে।’ -সূরা মুমিনুন: ১-২
কোরআনে কারিমের অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যত্মবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি এবং বিনীতভাবে দাঁড়াও আল্লাহর উদ্দেশ্যে।’ -সূরা বাকারা: ২৩৮
কোরআনে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা নিজেদের নামাজের হেফাজত করে, এরাই আল্লাহর জান্নাতে মর্যাদা সহকারে প্রবেশ করবে।’ -সূরা মাআরিজ: ৩৪-৩৫
নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে উদাসীনতা পরিহার করা খুবই জরুরি। নামাজের সময় হলে দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে একাগ্রতার সঙ্গে মসজিদে যেতে হবে। দুনিয়ার আসক্তি দূরে ঠেলে আল্লাহ অভিমূখী হতে হবে। তা না হলে নামাজে প্রশান্তি আসবে না। নামাজের গুরুত্ব অনুধাবন করে, নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে গাফিলতি হলে কিংবা লোক দেখানো হলে সওয়াবের পরিবর্তে উল্টো শাস্তি ভোগ করতে হবে।
এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে, তিনি তাদের ধোঁকায় ফেলে শাস্তি দেন এবং তারা যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন আলস্যভাবে দাড়াঁয়, লোক দেখানোর জন্য, তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।’ -সূরা নিসা: ১৪২
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘অতত্রব দুর্ভোগ সেসব নামাজ আদায়কারীর যারা নিজেদের নামাজ আদায়ে অমনোযোগী।’ -সুরা মাউন: ৪-৫
বস্তুত নামাজ আদায়কালীন সময়ে কোনো প্রকার তাড়াহুড়া করা যাবে না। সম্ভব হলে নামাজ আদায়ের পর কিছু সময় বসে তাসবিহ-তাহলিল পাঠ করবে। আন্তরিকভাবে ইবাদত করতে হবে। কারণ, যে ইবাদতে আন্তরিকতা ও দরদ থাকে না; ওইসব আমল ও ইবাদত আল্লাহতায়ালার কাছে গৃহীত হয় না।
যেহেতু নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত, তাই নামাজ মহব্বতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। তা না হলে প্রভুর সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত হতে হবে।