বিজিএমইএ ভবন

মন্ত্রীর কথা আর রাজউকের কাজে মিল নেই

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিজিএমইএ -এর পুরনো ভবন, ছবি: সুমন শেখ

বিজিএমইএ -এর পুরনো ভবন, ছবি: সুমন শেখ

বুকে বিষফোঁড়া নিয়ে জন্মেছিল রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিল। ওই ভবনের কারণে পুরো হাতিরঝিলের সৌন্দর্য্য বিঘ্নিত হয়, বাধাগ্রস্ত হয় জলাধার। তাই শুরু থেকে এই ভবন ভেঙে ফেলার তৎপরতা থাকলেও আইন জটিলতায় আটকে ছিল বছরের পর বছর।

অবশেষে আদালতের আদেশে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। আদালতের সিদ্ধান্তে গত ১৬ এপ্রিল ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবন ভাঙার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় অভিজ্ঞ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের খোঁজে দরপত্র আহ্বান করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক।

বিজ্ঞাপন

গত ২৪ এপ্রিল ছিল টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন। দরদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ নিয়ে গত ১৭ এপ্রিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী তার দফতরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ২৪ এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত হবে ঠিকাদার।

মন্ত্রীর সেই বক্তব্যের প্রতিফল দেখা যাচ্ছে না রাজউকে। এ নিয়ে গত ১৫ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বার্তা২৪.কম-কে মোবাইল ফোনে বলেন, টেন্ডার দাখিল শেষ, আমরা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বার্তা২৪.কম-কে মোবাইল ফোনে বলেন, কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। কে পাচ্ছেন তাও ঠিক হয়নি।

রাজউকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তিন মাসের মধ্যে ভবন ভেঙে মালামাল অপসারণ করতে হবে। ভাঙার ব্যাপারে ক্রেতাকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

দরপত্রের শর্তে বলা আছে, ভবন ভাঙার জন্য আলাদা কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। যারা ভবন ভাঙবেন তারাই মালামাল কেনার দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ মূল্য উল্লেখ করবেন, তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী ঘোষণা আর রাজউকের কার্যক্রমে মিল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যিনি দায়িত্বে রয়েছেন সেই প্রধান প্রকৌশলীই নিশ্চিত করতে পারেননি কবে চূড়ান্ত হবে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত। নাকি এভাবে আবার বছর কেটে যাবে তা নিয়ে  প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।