এডিপির আকার ২ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন করেছে এনইসি/ ছবি: সংগৃহীত

২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন করেছে এনইসি/ ছবি: সংগৃহীত

আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ঘোষিত এডিপির মধ্যে অর্থের পরিমাণে সর্বোচ্চ।

আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য এডিপির খসড়া তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশন। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়া এবার এডিপির আকার হবে দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপি থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বা ২১ শতাংশ বেড়েছে এডিপি।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এডিপিতে পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগসহ সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন খাতে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এডিপির আকার ঠিক করতে মঙ্গলবার (২১ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিকল্পনা কমিশন আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন কাজের জন্য এডিপির প্রস্তাব করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়। প্রতিবছরই এনইসি সভায় এডিপি চূড়ান্ত করা হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এনইসি সভায় দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকার এডিপি উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন করেছেন। রেকর্ড এডিপি অনুমোদন। এবারাই প্রথম দুই লাখ কোটি টাকার উপরে এডিপি অনুমোদিত হলো।’

মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে বরাদ্দ ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ১২ শতাংশ।

এছাড়াও শিক্ষা ও ধর্ম খাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণসহ বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে পঞ্চম সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৭ হাজার ৫৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৫ হাজার ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ, কৃষি খাতে সাত হাজার ৬১৫ কোটি ৯৩ লাখ ও পানিসম্পদ খাতে পাঁচ হাজার ৬৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।