ভারতীয় কোম্পানি সিজিএল’কে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ

  • সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের এইচটি বুশিং নির্মাতা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিজিএল’কে (Crompton Greaves Limited india) কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। কোম্পানিটির এইচটি বুশিং ক্রুটির কারণে ফেঞ্চুগঞ্জ, হাটহাজারী সর্বশেষ কেরানীগঞ্জে নির্মাণাধীন উপ-কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের পর গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি এমন সুপারিশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিজিএলের এইচটি বুশিং ত্রুটির কারণে ইতোপূর্বে ফেঞ্চুগঞ্জ ও হাটহাজারী উপ-কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রেকর্ড রয়েছে। সুতরাং ভবিষ্যতে সিজিএল উৎপাদিত বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় কোম্পানির এইচটি বুশিং না নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ট্রান্সফরমার ক্রয়ের সময়ে স্পেসিফিকেশনে ট্রান্সফরমারের বুশিংয়ের উৎপাদক দেশ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন/ইউকে/ ইউএসএ/কানাডা/ জাপান উল্লেখ করার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির এই রিপোর্ট বিদ্যুৎ বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিদ্যুৎ বিভাগের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাতেও আলোচনায় হয় বিষয়টি নিয়ে।

কেরানীগঞ্জে নির্মাণাধীন ২৩০/১৩২ কেভি উপ-কেন্দ্রে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টায় বিকট শব্দে (অটো-টিআর’র উত্তর পার্শ্বে ব্লু ফেজে ২৩০ কেভি বুশিং) আগুন ধরে যায়। আগুনের সংস্পর্শে এসে পাশের বন্ধ অটো-টিআর’ এ আগুন ধরে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়াস সার্ভিস। এতে প্রায় ১০০  কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়।

কেরানীগঞ্জ এলাকায় মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ওই উপ-কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। এতে ঠিকাদার ছিলেন কনসোটিয়াম অব সিমেন্স লিমিটেড। কাজ চলমান অবস্থায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অগ্নিকাণ্ডের মূল সুত্রপাত ব্লু ফেস বুশিং কাস্টের  মাধ্যমে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর এই বুশিংটির উৎপাদক ভারতীয় কোম্পানি সিজিএল। এর আগেও ওই কোম্পানিটির বুশিংয়ের কারণে দুটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কোম্পানিটিকে ব্লাক লিস্ট করার আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপ-কেন্দ্রটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় নির্মাণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের আর্থিক অপচয় না হলেও নির্ধারিত সময়ে মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে। বাড়তি ২ বছর সময় ওই এলাকায় গ্রাহকদের ভোগান্তির আশঙ্কা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।