পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’: টিআইবি

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান/ ছবি: সুমন শেখ

টিআইবির প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান/ ছবি: সুমন শেখ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ রয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পোশাক শ্রমিকদের যে হারে বৃদ্ধির কথা ও এর আগে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ হয়েছে, সেসব বিবেচনা করলে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি কমেছে ২৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবি ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

টিআইবি প্রধান বলেন, ‘পোশাক শিল্প খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনেক অগ্রগতি হলেও এখনো বেশ ঘাটতি রয়েছে। ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। প্রতিবছর শ্রমিকের মজুরি যে হারে বাড়ার কথা, সেই অনুপাতে কমেছে ২৬ শতাংশ।’

‘মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৬৮টি কারখানা থেকে ১০ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। রানা প্লাজাসহ এ ধরণের দুর্ঘটনায় বিচার করা দরকার। এসব ক্ষেত্রে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা হলে এ ধরণের আরও দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যাবে।’

প্রতিবেদনে টিআইবির গবেষক নাজমুল হুদা মিনা জানান, পোশাক শিল্পে নানা সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। সরকারি নির্দেশ না মেনে বিজিএমইএ ২০০টি নন-কমপ্লায়ান্ট কারখানায় ইউডি সুবিধা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

অধিকাংশ সাব-কনট্রাক্ট কারখানায় ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। রানা প্লাজার মালিক ও কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও শ্রম আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইডি দায়েরকৃত মামলায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে ২০১৭ সালে। কিন্তু আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ইমারত আইনের মামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর ক্রেতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিদর্শনকৃত কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

কিন্তু জাতীয় উদ্যোগের কারখানাসমূহে কোনো আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে মজুরি বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট আন্দোলনের পর শ্রমিক ছাটাই হয়েছে অনেক কারখানায়। সার্বিক আইনে দীর্ঘ্যসূত্রিতার কারণে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি, শ্রমিক অধিকার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।