‘পর্যটনের উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী / ছবি: বার্তা২৪

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী / ছবি: বার্তা২৪

পর্যটনের উন্নয়নে সরকার একটি মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ করছে। এ কাজকে এগিয়ে নিতে সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে 'নবম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার-২০১৯' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেন ট্যুরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

বিজ্ঞাপন

পর্যটনের প্রসার ও পর্যটন গন্তব্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে গণমাধ্যমের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ্য করে মাহবুব আলী বলেন,‘পর্যটকরা যখন কোথাও ভ্রমণ করতে চায়, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে মূলত গণমাধ্যম থেকে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন ও ভ্রমণ খাতের অবদান ছিল ৮৫০ দশমিক ৭ কোটি টাকা। এটা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২৮ সাল নাগাদ তা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। ২০১৭ সালে ২৪ লাখ ৩২ হাজার কর্মসংস্থান তৈরিতে সরাসরি সহায়তা করেছে পর্যটন ও ভ্রমণ শিল্প, যা মোট কর্মসংস্থানের ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৮ সালের মধ্যে তা ৪ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সম্পদ ও সম্ভাবনা আমাদের রয়েছে। এখন প্রয়োজন আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলোকে সঠিকভাবে, সুন্দরভাবে অভ্যন্তরীণ পর্যটক এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা। এ ধরনের মেলার আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের পর্যটন খাত বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করার পাশাপাশি আমাদের লাখ লাখ অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের দেশের ভেতরে পর্যটন গন্তব্য বেছে নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।’

টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাগমিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, আসাম ট্যুরিজম করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভাস্কর গোখান প্রমুখ।