প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পোশাক শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরির কয়েকটি গ্রেডে যৌক্তিকহারে বেতন বৃদ্ধি করে গ্রেডগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এ ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞাপন

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে শ্রমিকদের স্বার্থে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে মজুরি সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের সঙ্গে ১ ও ২ নম্বর গ্রেডের মজুরি সমন্বয়ের নির্দেশ দেন। ফলে প্রতিটি গ্রেডেই মজুরি যৌক্তিকহারে বেড়েছে। সব পক্ষের সহযোগিতায় কমিটি সন্তোষজনক সমাধানের পথে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

এর আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে গ্রেডগুলো সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৩, ৪ ও ৫নং গ্রেডের সঙ্গে ১ ও ২ নং গ্রেডের মজুরির সমন্বয় করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে সমন্বয়ের পর সব গ্রেডে মজুরি বাড়বে। ‍পোশাক শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ প্রথম গ্রেডে ১৮২৫৭, ২য় ১৫৪১৬, ৩য়: ৯৮৪৫, ৪র্থ: ৯৩৪৭, ৫ম: ৮৮৭৫, ৬ষ্ঠ: ৮৪২০, ৭ম: ৮০০০।

এরআগে গার্মেন্টস শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের খাত হওয়ায় এ শিল্প এবং শিল্পখাতের শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয় বিবেচনায় সরকার ত্রি-পক্ষীয় মজুরি কমিটি গঠন করে।

উল্লেখ্য, সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সড়ক বন্ধ রেখে আন্দোলন, বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও শ্রমিক আহতের ঘটনা ঘটে।

এর আগে গেল বছর মালিক-শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পোশাক খাতে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা মজুরি চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ মজুরি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। আর এ মজুরি কার্যকর নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে।