পাট নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছেই না

  • ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, ছবি: সংগৃহীত

পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, ছবি: সংগৃহীত

এক সময় সোনালী আঁশ নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো পাটের ঝলমলে ছবি। কিন্তু সেই সোনালী দিনে যেন ভাটা পড়েছে বেশ খানিকটা। নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও রফতানিতো বাড়ছেই না বরং কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় কমেছে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা।

ইপিবি থেকে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের রফতানি আয় হয়েছে ৩৫১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিলো- ৪৫১ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এই সময়ে রফতানি কমেছে ৯৯ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন ডলার যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কাঁচা পাটের রফতানি কমেছে ১৭ শতাংশ, পাটজাত সুতার রফতানি কমেছে ২৬ শতাংশ, পাটজাত বস্তা ও ব্যাগ রফতানি কমেছে ২০ শতাংশ ও পাটজাত অন্যান্য দ্রব্যের রফতানি কমেছে ৩ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

গত বছর পাটের রফতানি বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ নিলেও রফতানি কমে যাওয়া চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/05/1546681756737.jpg

পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা গত কয়েক বছর ধরেই পাটজাত দ্রব্যের রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তবে কাঁচাপাট রফতানিতে আমরা কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছি। আমরা চাচ্ছি পাটজাত দ্রব্য আন্তর্জাতিক বিশ্বে রফতানি হোক। তাতে করে বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ড তৈরি হবে। আমাদের গবেষকরা পাটের তৈরি নানা নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন করছেন। আন্তর্জাতিক নানা বাজারে আমরা এসব পণ্য নিয়ে আলোচনা বসছি। আমাদের পণ্যের মান দেখে আন্তর্জাতিক ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। আশা করছি, যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে- তা আর বেশিদিন থাকবে না। অতিসত্বরই ফের পাটের সোনালী দিন ফিরে আসবে।

পাট অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে পলিথিনের ব্যাগ নিষিদ্ধের পর থেকেই পাটের ব্যাগের প্রচলন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সেই বাজারে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাট পণ্যের এখন অন্যতম হলো- তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, চীন, কেনিয়া ও বেলজিয়াম।

প্রসঙ্গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৫ মিলিয়ন ডলার। অর্থবছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা কতোটা আয় করা সম্ভব হবে তা নিয়ে চিন্তিত এখন সংশ্লিষ্ট মহলগুলো।