বিমানের ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’ ঢাকায় 

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’

ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ ‘হংসবলাকা’ ঢাকায় পৌছেছে। শনিবার রাত ১১.৩৮ মিনিটে ব্র্যান্ড নিউ এই উড়োজাহাজটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে শাহজালালে অবতরণের পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয় ড্রিমলাইনার উড়োজাহাটিকে। এ সময় ওয়াটার ক্যানন স্যালুট দেওয়া হয়। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদসহ এয়ারলাইন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শাহজালাল বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটিকে স্বাগত জানান। 

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িং বিমানের কাছে দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার হংসবলাকা হস্তান্তর করে। এরপর এটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরের পেনফিল্ড বিমানবন্দর থেকে টানা সাড়ে ১৫ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় পৌছায়।

এরপর রেজিস্ট্রেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সব প্রক্রিয়া শেষ হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এরপরই এটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য উপযুক্ত হবে। এটি নিয়ে বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টিতে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা-লন্ডন ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে এটি প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করবে। 

ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম। উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেক্ট্রিক (জিই)। উড়োজাহাজের শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে। উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ হবে ইলেক্ট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে। কম্পোজিটম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এই উড়োজাহাজটি ওজনে হালকা। ভূমি থেকে উড়োজাহাজটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান! এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।

ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ৬৫ ইঞ্চি পিচ, ইকোনমি ক্লাসেরগুলো ৩১ ইঞ্চি পিচ। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন। দু’পাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা। একইসঙ্গে জানালার শাটার বন্ধ করাও খোলা যাবে বোতাম টিপে। জানালা থেকে শুরু করে কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম। ফলে যাত্রীরা সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন লাইটিং মুড। দীর্ঘ সময় ভ্রমণেও যাত্রীরা যেন ক্লান্তি অনুভব না করেন সেজন্য এর ভেতরে এয়ার কম্প্রেসার সিস্টেম অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় উন্নত।