রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে আরো ১৬৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা নেবে সরকার

  • আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা নারী/ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা নারী/ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে আরো ১৬৫ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, ‘ইমারজেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে অনুদান হিসেবে এ সহায়তা নেওয়া হবে। আর্থিক সহায়তা পেতে দাতা সংস্থাটির সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা করতে ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগমকে প্রধান করে ২১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নকল্পে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক রিফিউজি সাব উইন্ডো থেকে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন চুক্তি, প্রকল্প মূল্যায়ন দলিল, ব্যয় ও আর্থিক তথ্যাবলী জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে ১৩৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং ২৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। এরমধ্যে ২৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণটি কোনো তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক বাই ডাউন পদ্ধতিতে ঋণ থেকে অনুদানে পরিবর্তিত হবে। ফলে সম্পূর্ণ অর্থায়নটি অনুদান হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের মৌলিক পরিসেবাদির প্রবেশাধিকার উন্নত করা এবং স্থানচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যার (ডিআরপি) স্বাভাবিক জীবনযাত্রা উন্নত করতে সুনির্দিষ্ট কতগুলো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে- ৬০ হাজার ডিআরপি প্রধানত নারী, কর্মবয়স্ক শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কমিউনিটি সেবা সরবরাহের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, কমিউনিটি ওয়ার্কফেয়ার উন্নয়নের মাধ্যমে মৌলিক সেবা সম্প্রসারণ ও ৪০ হাজার ডিআরপিদের অন্তর্ভুক্তিকরণ।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চরম সহিংসতা শুরু হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৭ লাখ ২ হাজার ১০ জন সীমান্ত অতিক্রম করে কক্সবাজার জেলায় অনুপ্রবেশ করে। অবশ্য এর আগে থেকেই ২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। ফলে বর্তমানে ৯ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৮ জন্য বাংলাদেশে আছে। যা পৃথিবীর দ্রুততম জোরপূর্বক স্থানচ্যুত সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফ ডিআরপি বসতি স্থাপন করে। তবে কুতুপালং মেগাক্যাম্প বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে পরিণত হয়েছে।