বিশ্বব্যাংকের কর্মসূচি শুরুর আগেই সরকারি কর্মকর্তাদের প্রমোদ ভ্রমণ!

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 

বিশ্বব্যাংকের পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট (পিইএম) কর্মসূচি শুরুর আগেই প্রমোদ ভ্রমণ শুরু করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। ভ্রমণ দলে আছেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ মোট ১৫০ জন। ভ্রমণের অংশ হিসেবে শুক্রবার কক্সবাজারের দ্য রয়েল টিউলিপ রিসোর্টে ওঠেন তারা।

বিজ্ঞাপন

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজম্যান্ট অ্যাকশন প্লান তৈরি করতে ওই রিসোর্টেই কর্মশালার আয়োজন করেছে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস। বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় ওই কর্মশালায় পিইএম ডকুমেন্ট তৈরি করা হবে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরাই এই কর্মশালা পরিচালনা করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথমবার কোনো আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা প্রকল্প ও কর্মসূচি শুরুর আগে প্রমোদ ভ্রমণের আয়োজন করেছে। ১৫০ জন কর্মকর্তার থাকতে দুই দিনের জন্য রিসোর্টটি বুক করা হয়েছে। ছাড় দেওয়ার পর প্রতিটি রুমের দৈনিক ভাড়া আসবে ৮ হাজার ১৬৬ টাকা। এ কর্মশালার খরচের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজারের বিমান ভাড়াও রয়েছে। সব মিলিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বিশ্বব্যাংকের মোট খরচ হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

জানা গেছে, সরকারি খাতে  দক্ষ জনবল তৈরি, সরকারি তহবিল দায়বদ্ধভাবে ব্যবহার এবং একটি সমালোচনামূলক হিসাব জনসম্মুখে তুলে ধরার প্রশিক্ষণ দেওয়াই এ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য। বিশ্বব্যাংকের এ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি শাসনের গুণগত মানের একটি নির্দেশিকা নির্ধারণ করা হবে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এ কর্মসূচি কাজে আসবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতা ফিরে আসবে। এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পরিপালন করলে  জনসাধারণের জন্য অর্থায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতাও নিশ্চিত হবে। পাঁচ বছর মেয়াদী এ কর্মসূচি শুরু হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বব্যাংকের পিইএম  অ্যাকশন প্লান্টের পাঁচ বছর মেয়াদী এ  কর্মসূচির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা।