উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতার পাদপ্রদীপে কিমের বোন ইয়ো জং
কতটুকু কমিউনিস্ট কিংবা কতটুকু একনায়কতন্ত্রী শাসন চলে উত্তর কোরিয়ায়, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার কিম যে একজন অদ্ভুত নেতা এবং তিনি দেশ চালান নিজের বিচিত্র পদ্ধতিতে, সে বিষয়ে সারা বিশ্বে কোনও সংশয় নেই। সে দেশে এবার ক্ষমতার পাদপ্রদীপে চলে এসেছেন কিমের বোন কিম ইয়ো জং।
হঠাৎ করেই আবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনার পর দেশের ক্ষমতাশালী স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশনে নিয়োগ করা হয়েছে কিম ইয়ো জংকে। এর আগে তিনি কিম জং উনের উপদেষ্টার পদে ছিলেন। কিম ইয়ো জংকে সে দেশের স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশনের প্রধান পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই এই কমিশনের নয় সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বাদ দেওয়া হয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্টকেও। এছাড়া এক মহিলা কূটনীতিবিদকেও বাদ দেওয়া হয়। এই মহিলা কূটনীতিবিদ উত্তর কোরিয়ার হয়ে মার্কিন মুলুকের সঙ্গে আলোচনা সারতেন। অর্থাৎ বড়সড় রদবদলের পর এই জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন ইয়ো।
স্টেট অ্যাফেয়ার্স কমিশনে কিম ইয়ো জং ছাড়াও আরও সাতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নতুন সদস্যদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, মহিলা হিসেবে এই কমিশনে একমাত্র জায়গা পেয়েছেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।
কিম ইয়ো জংকে তার ভাই কিম জং উনের পাশেপাশেই সবসময় দেখা যায়। দু'জন একসঙ্গে সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনাও করেছেন। এর আগে কিম ইয়ো জং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে শীর্ষ আলোচনার সময়ও ভাইয়ের পাশে বৈঠকে বসেন। উত্তর কোরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি।
কিম ইয়ো জং তার বক্তব্যের জন্য প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকেন। তিনি ভাইয়ের মতোই এর আগে বেশ কয়েকবার আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। ধারণা করা হয়, কয়েক মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে লিসিং অফিস কিম ইয়ো জং-এর নির্দেশেই বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই অফিস ভবনটি নিজস্ব টাকায় নির্মাণ করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
বর্তমানে কিম ইয়ো জংকে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে পরিচিত ও প্রভাবশালী নেত্রী বলেও মনে করা হয়। ভাইয়ের পর তিনি যে দেশটির দ্বিতীয় শীর্ষ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, নতুন নিয়োগে সেটাই স্পষ্ট হয়েছে।