'লেখকসত্তা শিশু-কিশোরদের বিকাশে নিয়োজিত করতে চাই'

  • ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম 
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মৌরী তানিয়া

মৌরী তানিয়া

বেশ কয়েক বছর আগের এক বইমেলায় 'যে সন্ধ্যায় আমরা জিন দেখলাম' (মাওলা ব্রাদার্স) নামে একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশ পেলে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বইয়ের ১২টি গল্প শুধু ছোটদের নয়, তাদের অভিভাবকদেরও আকৃষ্ট করে। তখনই সবার নজরে আসে বইটির লেখক মৌরী তানিয়া।

মৌরী তানিয়া ক্রমে ক্রমে শিশু সাহিত্যকে নিজের পছন্দ ও কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়ে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে চলেছেন। প্রকাশ করেছেন 'আমাদের গৌরব- ২' নামে (যুক্ত প্রকাশনা) একটি জীবনী গ্রন্থ। ১৫ জন গুণীজনের জীবনী এই বইটিতে আছে। গুণীজন ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জীবনীগুলো নিয়ে যুক্ত প্রকাশনা এই বইটি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

বার্তা২৪.কমকে মৌরী তানিয়া জানান, '২০২১ সালের একুশে গ্রন্থ মেলায় আমার শিশুতোষ উপন্যাস 'বাঘাড়ু' প্রকাশিত হবে। বইটি প্রকাশের কাজ চলছে। একটি কিশোরী মেয়ের বেড়ে ওঠার কাহিনী নিয়ে উপন্যাসটি রচিত। উপন্যাসটির ভূমিকা লিখেছেন বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।' তাছাড়াও ২০২১ সালের একুশে বইমেলায় সাত থেকে নয় বছরের শিশুদের জন্য রঙ্গিন ছবিযুক্ত ১২-১৬ পৃষ্ঠার একটি মনোজ বই প্রকাশের কাজও চলছে।

মৌরী তানিয়া মনে করেন, বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্রে আসক্তির কারণে শিশুদের বই পড়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। কিন্তু শিশুদের সঠিক মানসিক বিকাশে এবং তাদের মনোজগতকে সম্মৃদ্ধ করতে ও পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।

বিজ্ঞাপন

'ডিজিটাল যন্ত্রের প্রতি আসক্তি কমিয়ে ক্লাসের বইয়ের বাইরে সুন্দর সুন্দর বই হাতে তুলে দেওয়ার প্রত্যাশা থেকেই আমি শিশুদের জন্য লেখালেখিতে আগ্রহী হয়ে উঠি', জানান তিনি। তিনি বলেন, 'একজন মানুষ, বিশেষত নারী হিসেবে আমি সব সময়ই শিশু মনস্তত্ত্বকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং এজন্যই আমি আমার লেখকসত্তা শিশু-কিশোরদের বিকাশে নিয়োজিত করতে চাই। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এবং আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এই কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।      

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে জন্ম মৌরী তানিয়ার। সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার শুরু। তারপর অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ঢাকায়। ঢাকার বেসরকারি সংস্থা ডিনেট-এর অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। জড়িত আছেন গুণীজন ট্রাস্ট-এর সঙ্গেও।