সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট বিশ্লেষণে ইউনিট হবে: তারানা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

'সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট' বিশ্লেষণ ও আপত্তিকর কন্টেন্টের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে একটি ইউনিট করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

তিনি বলেছেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা ছোট্ট একটি ইউনিট করতে চাচ্ছি। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট বিশ্লেষণ করবো। যেন কোনো রকম গুজব, নেতিবাচক প্রচারণা, নারীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য, নারীর সম্মানহানিকর বক্তব্য, হেইট স্পিচ- এই কন্টেন্টগুলো যাতে যাচাই করে বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) জানিয়ে দিতে পারি যে, এই কন্টেন্টগুলো সত্য নয়, ভিত্তিহীন কিংবা মানহানিকর, নারীর জন্য অবমামনাকর।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি হিসেবে কারাগারে যাব। সেখানে কয়েদীদের মাদকের কুফল টিভি স্ক্রিনের মাধ্যমে তুলে ধরবো। মাদক বিষয়ে তাদের সচেতন করার চেষ্টা করবো। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কারাগারে যে মহিলা কয়েদিরা আছেন সেখানে আমি যাব। সেখানে আমরা মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করবো। মাদকের কুফল সম্পর্কে আমাদের তৈরি করা টিভিসিগুলো বড় স্ক্রিনে তাদের দেখাবো। তাদের সাথে মতবিনিময় করবো।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আপনাদের জানানো দরকার। মাদক বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রথমত আমরা ইতোমধ্যে সরকারি টেলিভিশনে নিয়মিত প্রচার করছি ‘জীবনকে ভালবাসুন এবং মাদক থেকে দূরে থাকুন’ এ শিরোনামে অনুষ্ঠান প্রচার করছি।

তারানা বলেন, সীমান্ত এলাকাগুলোতে মাদক বহনের শাস্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করবো। এ আইনের শাস্তিগুলো আমরা প্রচার করবো। সীমান্তে শিশুদের মাদক বহনে ব্যবহার করা হয়। এখানে আমরা তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করবো।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। উন্নয়নের মহাসড়কে যে আমরা প্রবেশ করেছি সেটা শুধুমাত্র আমাদের ঢাকাবাসির জন্যই নয়। এটা গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রতিটি মানুষই এ গৌরবের অংশীদার। এ বিষয়টি সামনে রেখে আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। একটি হচ্ছে, গণ যোগাযোগ অধিদফতর থেকে আমরা গ্রামের মানুষের মধ্যে উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচারে শক্তিশালী একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

তিনি জানান, এ প্রজেক্টের আওতায় পিকআপ ভ্যান, বড় টিভি স্ক্রিনসহ এসব প্রচার কার্যক্রম আমরা করবো। এটি হচ্ছে একটি প্রকল্প। যেখানে বাংলাদেশের গৌরবগাঁথা অর্জনগুলো সাধারণ নাগরিকের জানার অধিকার আছে তাই তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়ে গেছে।

দ্বিতীয় প্রকল্প হচ্ছে, আমাদের শান্তিচুক্তি হওয়ার পর থেকে পার্বত্য এলাকায় যে উন্নয়নগুলো হয়েছে তা আমরা জনগণের মাঝে পৌঁছে দিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমভাবে সব এলাকায় উন্নয়ণ কাজ করেছেন। কাজে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর থেকে যে উন্নয়ন হয়েছে তা গণযোগাযোগের একটি সেল টেলিটকের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে পৌঁছে দেবে। কারণ আমরা অনুভব করেছি প্রত্যন্ত অঞ্চলে যদি সাধারণ নাগরিকের মাঝে যদি অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে একটি জনগোষ্ঠীকে আমরা অন্ধকারে রেখে দিচ্ছি। সেটি কাম্য নয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড থেকে আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যয়ভার আমরা বহন করবো। সরকারি হাসপাতালে আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য আমরা একটি চিঠির খসড়া করেছি। আজকের মধ্যে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে ফোন করে বিলগুলো আমাদের কাছে পাঠাতে বলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেখানে বিভিন্ন রকম মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল। আমাদের চিঠির পর তারা একটি টিমও গঠন করেছেন ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য।’