৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে গ্রামীণফোন

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্যবসা পরিচালনার পর থেকে সরকারকে ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, শুল্ক, লাইসেন্স-তরঙ্গ ফি ও রাজস্ব হিসেবে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। যা বিদায়ী বছরে আয়ের প্রতি ১শ’ টাকার মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ টাকা। এসব তথ্য জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান।

সোমবার(০৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন


সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, যাত্রার শুরু থেকে ব্যবসা সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে সরকারের চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসেবে কাজ করে চলেছে গ্রামীণফোন। এভাবেই দেশের আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।

গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে আধুনিকায়ন ও উদ্ভাবনী সেবার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন। যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসেবে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম বির্নিমাণের মাধ্যমে সহজ ও শক্তিশালী সমাধান উদ্ভাবন করে ডিজিটাল সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন ইয়াসির আজমান।

তিনি আরও বলেন গ্রামীণফোন সব সময়ই আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে চলেছে, যাতে সমাজের সর্বোস্তরে ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে গ্রাহকরা গ্রামীণফোনের কাছ থেকে আরও কার্যকর যোগাযোগ সেবা প্রত্যাশা করে, যেটি তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে। গ্রামীণফোনের সর্বমোট গ্রাহকের ৫৩ দশমিক ১ শতাংশ এরই মধ্যে ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করছেন, যেটি সামনে আরও বৃদ্ধি পাবে। ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির এ হার গ্রামীণফোনের জন্য এক দিকে অনুপ্রেরণামূলক, অন্যদিকে অনেক বড় দায়িত্ব।

শুরু থেকেই সময়োপযোগী ও কৌশলগত বিনিয়োগ ধারাবাহিকতার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করে চলেছে গ্রামীণফোন। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফোরজি ও এলটিই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে আইওটি এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ত্বরান্বিত করতে গ্রামীণফোন আইসিটি পোর্টফোলিও শক্তিশালী করার কাজ করছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্থা, নীতি-নির্ধারক, ইকোসিস্টেম পার্টনার এবং শিল্পখাতের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ফাইভ-জি নীতিমালা প্রণয়নে অংশ নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে, যোগ করেন তিনি।

ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোন মনে করে, সবার জন্য ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিরাপদ ইন্টারনেট আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানটি ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথভাবে নয় লাখ শিক্ষার্থীকে নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কে এরই মধ্যে সচেতন করেছে। শিক্ষার্থীদের এ সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সহায়তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি এ সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশব্যাপী আরও শিশুদের সহায়তা করার পরিকল্পনা করছে।