ইউটিউবে ১০ লক্ষ জঙ্গি ভিডিও

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইউটিউব, ছবি: সংগৃহীত

ইউটিউব, ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন অপরাধসহ সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়াতে এখন বেছে নেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। কেউবা আবার নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এসব প্লাটফর্মকে বেছে নেন।

তাই এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত নতুন নিয়ম এবং নীতিমালাগত দিক থেকে বিভিন্ন পরিবর্তন আনছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি গুগলের এক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইউটিউবে জঙ্গিবাদের ভিডিও অবাধে প্রকাশ পাচ্ছে। এসব চ্যানেল তাদের অনুসারীদের বিভিন্নভাবে সহিংসতা, উগ্রবাদের মত ঘৃণিত কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত করছে।

সার্চ ইঞ্জিন গুগল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস নিম্নকক্ষকে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয় কনটেন্ট পর্যালোচনার জন্য। আর গুগলের নিজস্ব এক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯-এ প্রথমদিকে ১০ মিলিয়ন জঙ্গিবাদের ভিডিও ইউটিউবে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে গুগল জানায়, প্রতিনিয়ত ১০ হাজার মানুষ কাজ করছে এসব ক্ষতিকর কনটেন্ট পর্যালোচনা করছে।

এর আগে ২৪ এপ্রিল গুগল একটি খোলা চিঠিতে জানায়, ম্যানুয়াল রিভিউতে তারা ৯০ হাজার ভিডিও পেয়েছে যেগুলো ইউটিউবের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। সেসব ভিডিওগুলোর বিষয়বস্তু ছিল সহিংসতা এবং উগ্রবাদ ছড়ানো।

সম্প্রতি, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস নিম্নকক্ষের চেয়ারপার্সন দেশের নিরাপত্তা স্বার্থে গুগল, ফেসবুক, টুইটার এবং মাইক্রোসফটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি কন্টেন্ট পর্যালোচনায় বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ম্যাক্স রোস উপরোক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানকে কাউন্টার টেরোরিজম প্রোগ্রামে তাদের বার্ষিক বাজেট কত এবং কতজন জনবল এই ইউনিটে কাজ করছে তা জানতে চেয়ে একটি চিঠি পাঠালে ফেসবুকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এ প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর দেয়নি।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইম