বেডরুম কালচার এর শিকার দেশের ৬৩ শতাংশ শিশু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

অনলাইনে মেয়ে শিশুরা সবচেয়ে বেশি অপরিচিত বন্ধুত্বে সাড়া দিয়ে থাকে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। এ বিষয়ক নিজেদের একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন তুলে ধরে ইউনিসেফ জানায় ৬৩ শতাংশ শিশু প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্থান হিসেবে তাদের নিজেদের কক্ষটিকেই ব্যবহার করে।যা ‘বেডরুম কালচার’ এর ব্যাপকতা নির্দেশ করে। এটি অপেক্ষাকৃত কম নজরদারির মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করছে।

মঙ্গলবার(৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এক আলোচনা সভায় সংস্থাটি আরও জানায় ৭০ শতাংশ ছেলে ও ৪৪ শতাংশ মেয়ে অনলাইনে অপরিচিত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে একটি অংশ তাদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে সেই ‘বন্ধুদের’ সঙ্গে সরাসরি দেখা করার কথাও স্বীকার করে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও দেশের ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ডিজিটাল জগতে প্রবেশ শুরু করে।

‘বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শিরোনামে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল সংস্থাটি। এতে দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এক হাজার ২৮১ জন স্কুল-বয়সী শিশু অংশ নেয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানায়, বাংলাদেশে উচ্চমাত্রায় অনলাইনে প্রবেশাধিকারের সুযোগ ও ব্যবহারের দিক থেকে ছেলেরা (৬৩%) মেয়েদের (৪৮%) চেয়ে এগিয়ে আছে।

ইন্টারনেটে নিয়মিত সবচেয়ে বেশি অনলাইন চ্যাটিং এবং ভিডিও দেখায় সময় ব্যয় করে শিশুরা। প্রতিদিন গড়ে ৩৩ শতাংশ সময় অনলাইনে চ্যাটিং এবং ৩০ শতাংশ সময় ভিডিও দেখা হয়ে থাকে।

ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছে। ২০০০ সাল থেকে এই সংখ্যা এখন এসে ৮০০ গুণ বেড়েছে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর গড় বয়স ক্রমেই কমছে। এমনকি ১১ বছরের শিশুরাও প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রবেশ ও ব্যবহার করছে।

সংস্থাটি জানাচ্ছে, অনলাইনে হয়রানী এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ এটা দ্রুত অনেকের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। একই সঙ্গে এগুলো অনলাইনে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত থেকে যেতে পারে।

অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা অনলাইনে ভয়ভীতির শিকার হয়, তাদের অ্যালকোহল এবং মাদকে আসক্ত হওয়ার এবং স্কুল ফাঁকি দেবার হার বেশি।