‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ করছি’
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছি বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির মহাপরিচালক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিলুর রহমান।
সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামীদ মিলায়তনে ‘টেলিযোগাযোগ খাতে বাজার প্রতিযোগিতা ও মুঠোফোন গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা গণশুনানির ব্যবস্থা করব, সেখানে সংশ্লিষ্ট সব অপরাটেরদের রাখা হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রেও কনট্রিবিউট করছি আমরা। যারা ব্যবসা করছেন তাদের প্রতি বিটিআরসির অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য আপনাদের পরিকল্পনা করতে হবে। এক দেশ, এক রেট সার্ভিস আমরা চালু করেছি। আপনাদের ফিটব্যাক দরকার।
টেলিযোগাযোগ খাতে বাজার প্রতিযোগিতা ও মুঠোফোন গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
‘প্রতিযোগিতা ছাড়া পুঁজিবাদ নয়, এটি শোষণ মাত্র’ এই প্রতিপাদ্যে তারা আলোচনা সভায় প্রতিযোগিতার উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই থেকে তিন শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি করা সম্ভব। সে হিসেবে বাংলাদেশের জিডিপি ১১.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি করা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে গ্রাহক বা ভোক্তা কম মূল্যে উন্নতমানের পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারবে।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় নতুন কোন অপারেটর এসে টিকতে পারবে না। টেলিকম শিল্প প্রতিযোগিতার অবস্থা বোঝার জন্য মার্কেট স্টাডি পরিচালনা করতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা ৬টি সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশগুলো হলো:
টেলিকম শিল্পের প্রতিযোগিতার অবস্থা বোঝার জন্য মার্কেটে স্টাডি তৃতীয় পক্ষ দ্বারা পরিচালনা করা। একটি প্রতিযোগিতা সম্মতি নির্দেশিকা তৈরি করা। বিটিআরসি এবং বিসিসির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কর্মী বিনিময় কর্মসূচির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ এ ক্ষতিপূরণ ও class action lawsuit বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ আইন ২০০১ বাংলাদেশ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রবিধ বিধিমালা, ২০১৮ এবং প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ এর কঠোর প্রয়োগ। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উভয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও গ্রাহক ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনে মামলা দায়ের করা।